সাদিয়া খাতুন কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫-৬ মাসের মাথায় সাদিয়া সন্তান প্রসব করেছেন। একসঙ্গে পাঁচ বাচ্চার প্রসবে অনেক ঝুঁকি ছিল। তবে মা সুস্থ থাকলেও ওজন কম হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। শিশুদের দেখতে হাসপাতালের রোগী ও রোগীর স্বজনরা ভিড় করছে।শিশুদের ছোট ফুফু রাবেয়া বলেন, সোমবার রাত ১০টায় হাসপাতালে আসি। আমরা খুবই খুশি। নরমালে বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। শিশুর মা সুস্থ আছে।শিশুদের বাবা সোহেল রানা জানান, ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বহলবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন সোহেল রানা। সোহেল রানা একই উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সামাদ আলীর ছেলে।
তিনি আরও বলেন, খুবই ভালো লাগছে। অনুভূতি প্রকাশের ভাষা পাচ্ছি না। মা সুস্থ আছে। কিন্তু শিশুর ওজন কম হওয়ায় ঢাকায় নিয়ে যেতে বলছে চিকিৎসক। শিশুদের অক্সিজেন চলছে। তারা শিশু ওয়ার্ডের দুই নম্বর রুমের নবজাতক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা বলেন, সকাল ১০টার দিকে ওই গৃহবধূ পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। তাকে সোমবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মা সুস্থ রয়েছে কিন্তু শিশুরা ঝুঁকিতে আছে।জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহীন আক্তার সুমন বলেন, বাচ্চাদের সুস্থ করে তোলার জন্য চিকিৎসা চলছে। তবে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তাদের ওজন কম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে অথবা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাগুলোর ওজন ৫০০-৬০০ গ্রাম। তবে মা সুস্থ রয়েছেন।