কুষ্টিয়ার মিরপুরের আলোচিত স্কুলছাত্র ও শিশু দেব দত্ত (৯) হত্যা মামলায় সবুজ মল্লিক নামে একজনের মৃত্যুদন্ড এবং এরশাদ আলী ও হাবিবুর রহমান নামে দু’জনের আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।আজ রোববার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।
তবে আমৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামী এরশাদ ও হাবিবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী সবুজ মল্লিক মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের তুফান মল্লিকের ছেলে এবং আমৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা একই গ্রামের আমান আলী ও মৃত আনছার আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে,২০১৮ সালের ৯ জুন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্কুলছাত্র দেব দত্ত প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ী থেকে বের হয়।এরপর দেব দত্ত বাড়ীতে আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা স্কুলছাত্র দেব দত্তকে মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
পরে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে দেব দত্তের পরিবারের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে।ঘটনার পরদিন দেব দত্তের বাবা পবিত্র কুমার দত্ত মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।দেব দত্ত কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া মালিথাপাড়া গ্রামের পবিত্র কুমার দত্তের ছেলে এবং চিথলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
মামলার সূত্র ধরে মিরপুর থানা পুলিশ ৫জনকে আটক করে।পরে ২০১৮ সালের ২৬ জুনে আটক আসামীদের মধ্যে দুই আসামী নাঈম ইসলাম (২৭) ও জোয়ার আলী (২৮) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।নিহতরা স্কুলছাত্র দেব দত্ত অপহরণ ও হত্যা মামলার আসামি ছিল এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাঈমের বাড়ির শৌচাগারের পাশে গর্ত খুড়ে দেব দত্তের হাত-পা বাঁধা
বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন,অপহরণের পর হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সবুজ মল্লিককে মৃত্যুদন্ড এবং হাবিবুর রহমান ও এরশাদ আলীকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।রায় ঘোষণার পর আসামি সবুজ মল্লিককে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।তবে হাবিবুর রহমান ও এরশাদ আলী পলাতক রয়েছে।