কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার বকসি ও এক কনষ্টেবলের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।গত ১৯ জুলাই উপজেলার মথুরাপুর এলাকা থেকে অটোরিকশা চুরি করে পালানোর সময় মিল্টন নামে এক চোরকে এলাকাবাসী দৌলতপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে দৌলতপুর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এমন সুযোগ বুঝে তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে দালালের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন দৌলতপুর থানার বকসি আসাদ ও কনস্টেবল প্রিন্স।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিল্টনের নিকট আত্মীয়।
তিনি জানান,দৌলতখালী গ্রামের খোশবার আলীর ছেলে মিল্টন অটোরিকশা চুরি করে ধরা পড়ার পরে এক দালালের মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রস্তাব আসে ৩০ হাজার টাকা দিলে মিল্টনকে ছেড়ে দেওয়া হবে।আমরা তাদের কথা মত ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং দালালের মাধ্যমে থানা পুলিশের কনস্টেবল প্রিন্স ও বকসি আসাদ এর সাথে কথা বলিয়ে দেয় তার ফোন থেকে। আমরা নিশ্চিত হয়ে দালালের হাতে টাকা দিয়ে দেই,পরে ওসি সাহেব মিল্টনকে চুরির মামলায় জেলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিলে তড়িঘড়ি করে টাকা ফেরত দেয়।এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ সদস্য জানান,বকসি আসাদ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য যে আবেদন তদন্তে আসে বিভিন্ন অফিসারের নাম করে বকসি আসাদ একটি অন্য ফোন নাম্বার দিয়ে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীদের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরে যে অফিসারের নাম বলে টাকা নেই তার সাক্ষর নকল করে নিজে সাক্ষর করে চালিয়ে দেয়।যা তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে।এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার বকসি আসাদ জানান,আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা আমি ছুটিতে ছিলাম এবং আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে ভেড়ামারা-দৌলতপুরের অতিরিক্ত সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত জানান,এই ধরনের কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।