কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।যে কোন সময় ভবনের ছাদের প্লাষ্টার খসে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের আহত হওয়ার আশংকা থাকলেও শ্রেনী কক্ষ সংকটে ঝুকি নিয়েই এ পাঠদান অব্যাহত রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করলেও নতুন ভবন নির্মাণ না করায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
১৯৮৫ সালে নির্মিত বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।জরাজীর্ণ ভবনটির নিচতলায় রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়,শিক্ষক মিলনায়তন,দ্বিতীয় তলায় রয়েছে লাইব্রেরি,বিজ্ঞান ল্যাবসহ, স্পোর্টস অফিস ও বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস রুম।শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ঝুঁকিমুক্ত নয় বিদ্যালয়ের কর্মচারীরাও।স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্পে যেকোনো মুহূর্তে শতশত প্রাণ হানির আশঙ্কা করছে অভিভাবক ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভবনের বেশ কয়েক জায়গায় আস্তরণ ঝরে গিয়ে লোহার রড দেখা যাচ্ছে।১৩-১৪টি বড় ফাটলসহ শ্রেণি কক্ষের ছাদের বেশ কয়েক আস্তর ঝরে গেছে।শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান,বিভিন্ন সময় ছাদের আস্তর অংশ বিশেষ ঝরে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম বলেন,ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনের ক্লাস নিতে শিক্ষার্থীসহ আমরাও মারাত্মক শঙ্কায় থাকি।এদিকে বিদ্যালয়ের একটি একতলা বিশিষ্ট ভবনের উন্নয়নের কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে যা এক বছর আগে প্রতিষ্ঠানটিকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের।
তবে আজও ভবনের কাজ শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ভবনটিকে একতলা থেকে দ্বিতলে উন্নীত করা হয়েছে।যা কিছুটা হলেও বিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষের চাহিদা পূরণ করবে।তবে কবে কাজ শেষ হবে তা জানেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সর্দার মোহাম্মদ আবু সালেক জানান,আমি বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।বিদ্যালয়ের দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে দেখে,আমি তা বন্ধ করে দেই।তা ছাড়া তাদেরকে গ্রুপ করে ভালো রুমে ক্লাস করানোর নির্দেশ দিয়েছি।আরেকটি ভবনের উন্নয়নের কাজ চলছে।কাজ শেষ হলে তাঁরা সেখানে ক্লাস করতে পারবে।