কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকায় তিন চাকার যানবাহন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে। আহত হয়ে পঙ্গু হয়েছেন অনেকে। গতকাল সকালে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সিন্দুরিয়াপাড়া তুঁতবাগান এলাকায় ড্রাম ট্রাকের চাপায় মারা গেছেন পাঁচজন। আহত হয়েছেন দুজন। তিন চাকার বাহন চলাচলে হাইওয়ে পুলিশের নমনীয়তার কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২২ জুলাই ঢাকায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সড়ক তদারক কমিটির এক পর্যালোচনা সভায় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এরপর দেশের ২২টি মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গতকাল ওই মহাসড়কের অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার বাহন। এর মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাই বেশি। ময়নামতি সেনানিবাস, সাবের বাজার, দেবপুর, কংসনগর, জাফরগঞ্জ, চরবাকর, দেবীদ্বার, পান্নারপুল, ভিংলাবাড়ি, কোম্পানীগঞ্জ, ইউসুফপুর, বড়শালঘর, মাধবপুর ও মিরপুর এলাকায় অন্তত শতাধিক অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে দেবীদ্বারের ভিংলাবাড়ি এলাকায় মহাসড়ক পুলিশের সামনে দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে যাত্রী নিয়ে অন্তত ছয়টি অটোরিকশা চলে যায়। এতে নম্বরবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশাও ছিল।
ময়নামতি থানা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সীমিত জনবল দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি, তিন চাকার বাহন যেন না চলে। এরই ফাঁকে দু-একটি মহাসড়কে নেমে আসে। তখন দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি আইনজীবী নাজমুল আলম চৌধুরী বলেন, সাড়ে ছয় বছর আগে তিন চাকার বাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু সেটি বাস্তবে কাজে লাগেনি। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিন চাকার বাহন চলাচল ঠেকানো হবে। নিবন্ধনহীন যানবাহনের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।