কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে কাপড় সেলাইয়ের ১০ টাকা কম দেয়ায় জহুরা বেগম নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের সৈয়দ আলী ভূঁইয়া বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় পুলিশ ২ নারীকে আটক করেছে। নিহত জহুরা ওই গ্রামের মফিজুর রহমানের মেয়ে ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের মরিচা গ্রামের সাইফুলের স্ত্রী। আটককৃতরা হলেন, ওই গ্রামের সফিকুর রহমানের মেয়ে সুমি আক্তার (২৬) ও সেলিনা আক্তার (২৮)। তাদেরকে গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন পুর্বে জহুরা বেগমের বোন খোরশেদা বেগম একটি থ্রি-পিস সেলাইয়ের জন্য চাচাতো বোন সুমির নিকট দেয়। ওইদিন সন্ধায় জহুরা এবং খোরশেদা সুমির কাছ থেকে থ্রি-পিস আনতে যায়। এসময় সুমি ১শত টাকা দাবী করলে খোরশেদা বেগম ৯০ টাকা দেয়। ১০ টাকা কম দেয়া নিয়ে সুমির সাথে খোরশেদা এবং জহুরার তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে সুমির বোন ছকিনা আক্তার, সেলিনা আক্তার ও বোন জামাই জলিল মিলে জহুরা বেগমকে বেড়ধক মারধর করলে জহুরা পালিয়ে গিয়ে পিতার ঘরের সামনে আশ্রয় নেয়। পরে আবারো চাচাত বোন জামাই জলিল, জহুরার পিতার ঘরের সামনে গিয়ে জহুরার তলপেটে লাথি মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাথেরপেটুয়ার বেসরকারি হাসপাতাল ভূঁইয়া মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহুরাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুন নূর বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের পিতা মফিজুর রহমান ৪ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।