কুমিল্লায় বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। নিয়ন্ত্রণে আসছে না পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত এক দিনে জেলায় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড এটি।আক্রান্তের হার ৪৫দশমিক ৭ শতাংশ। এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও আটজন।
এসব তথ্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিট দিকে দৈনিক কালজয়ীকে নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন।জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী সোমবার ১২ জুলাই বিকেল থেকে মঙ্গলবার ১৩ জুলাই বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে ১ হাজার ১৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ২০৩ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের ২৫ জন, সদর দক্ষিণের ১২, বুড়িচংয়ের ১৮, ব্রাহ্মণপাড়ার ২০, চান্দিনার ২২, চৌদ্দগ্রামের ৫৪, দেবিদ্বারের ২৩, দাউদকান্দির ২৭, লাকসামের ২৯, লালমাইয়ের ১৪, নাঙ্গলকোটের ১৪, বরুড়ার ২৭, মনোহরগঞ্জের ৩, মুরাদনগরের ২০, তিতাসের ৭ ও হোমনার ২৫ জন শনাক্ত হয়েছেন।মৃতদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি ১, সদর দক্ষিণের ২, বুড়িচংয়ের ১, বরুড়ার ২,দেবিদ্বারের ১, দাউদকান্দির ১ জন।জেলায় এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪৬জন।গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭০ জন। এ নিয়ে জেলায় সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ৫৮৭।
সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন,কুমিল্লায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। যদি এ মুহুর্তেও মানুষের মাঝে সচেতনতা না বাড়ে, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে সর্বসাধারণের সচেতনতা বাড়াতে প্রতিদিনই মোবাইল কোর্টের (ভ্রাম্যমাণ আদালত) অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,চলমান শাটডাউনে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণও করা হচ্ছে। আমরা চাই বিনা প্রয়োজনে কেউ যেন ঘর থেকে না বের হয়।