স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ রয়েছে; এরমধ্যে সানাউল্লাহ গ্রুপে আছে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপরদিকে, জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরও একটি অংশ। এই পক্ষ স্থানীয়ভাবে কাইয়ুম গ্রুপ নামে পরিচিত।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা সম্প্রতি কুমিল্লা-২ সংসদীয় আসনের অধীন যুক্ত হয়েছে। এর পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা চালান জেলা পরিষদ সদস্য মো. আবদুল কাইয়ুম। কাইয়ুম কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদের অনুসারী। তবে চালিভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সংসদ সদস্যের পক্ষের লোক নন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কাইয়ুম ও হুমায়ুন পক্ষ। এ সময় কাইয়ুম পক্ষের লোকজনের আঘাতে নিজাম সরকার গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মো. টিটু (৩০), মো. রমজান (৩৫), মো. ইব্রাহীম খলিল (২৮), মো. শাকিল (২২), মো. ওয়াসিম (৩৫), মো. খালেদ হাসান (১৯), মো. দেলোয়ার হোসেন (৩২), আনিস সরকার (২৫), মো. সুমন মিয়া (২৪) ও মো. হানিফের (৪৫) নাম জানা গেছে। তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চালিভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, নিজাম সরকারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এর বিচার চান। কাইয়ুম ও তাঁর লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের লোকজন নিজেরা মারামারি করে আমাদের ওপর দায় দিচ্ছে। আমাদের লোকজন আহত হয়েছেন।’
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল আলম বলেন, কাইয়ুমের লোকজন চেয়ারম্যানের ভাই ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিজামকে হত্যা করেছেন বলে তিনি শুনেছেন।