কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) প্যানেল মেয়র ও নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলকুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) প্যানেল মেয়র ও নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) প্যানেল মেয়র ও নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল হত্যার দুই মাস অতিবাহিত হয়েছে গত শনিবার। তবে প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত ও দেশব্যাপী আলোচিত এ জোড়া খুনের ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা জড়িত, মূল পরিকল্পনাকারী কে?— নিহতদের পরিবারের সদস্যদের এমন প্রশ্নের জবাব আজও মেলেনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরিবার।
এদিকে নিহতদের ময়নাতদন্তেরর প্রতিবেদন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও হতাহতদের শরীরে লাগা গুলির ব্যালেস্টিক রিপোর্ট এখনো হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছেন, মামলাটির তদন্তে অনেক অগ্রগতি আছে এবং এ ঘটনার নেপথ্যে কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। নিহত কাউন্সিলরের পরিবার ও মামলার তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জেলা ডিবি সূত্র জানিয়েছে, সহযোগীসহ কাউন্সিলর খুনের ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন এ মামলার এজাহারনামীয় তিন জন আসামি। তারা হলেন—১ নম্বর আসামি শাহ আলম, ৩ নম্বর আসামি সাব্বির সোহেল ও ৫ নম্বর আসামি মো. সাজন। এছাড়া এ পর্যন্ত পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ১২ জন। এদের মধ্যে এজাহারনামীয় সাত জন ও সন্দেহভাজন পাঁচ জন। পলাতক আছেন মামলার ১১ নম্বর আসামি রনি। এখন পর্যন্ত জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মোট সাত জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, ‘নিহতদের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো হাতে আসেনি। এ ছাড়া কিলিং মিশনে ব্যবহৃত উদ্ধার হওয়া অস্ত্র এবং হতাহতদের শরীরে লাগা গুলির ব্যালেস্টিক রিপোর্টও পাইনি। অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মামলাটির তদন্ত চলছে, তদন্তের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রভাবশালী কেউ থেকে থাকলে অবশ্যই তাদের নাম তদন্তে উঠে আসবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না। মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে, তখন সবকিছু জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেলের থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে কালো মুখোশ ও হেলমেটপরা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল এবং তার সহযোগী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাহাপাড়া এলাকার হরিপদ সাহা। পরদিন রাতে কাউন্সিলরের ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।