কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চারকাঠালিয়াতে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে চাঁদপুর থেকে আসা একটি ডুবুরি দল। বিষয়টি নিশ্চিত করে মেঘনা চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবু আব্দুল্লাহ জানান, এ নিয়ে ট্রলারডুবিতে মৃত বেড়ে চারজনে পৌঁছেছে। উদ্ধার হওয়া ১০ বছর বয়সী শিশুর নাম তামান্না আক্তার।
মৃতের বাবা শেখ ফরিদ জানান, তাদের বাড়ি রাজধানীর ডেমরা এলাকায়। সোমবার নানুর বাড়ি কুমিল্লায় যাচ্ছিল তার তিন মেয়ে ১২ বছরের আয়েশা আকতার, ১০ বছরের তামান্না আক্তার, আট বছরের মরিয়ম আক্তার এবং তাদের নানু জুলেখা। পথিমধ্যে চারকাঁঠালিয়া নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে আয়েশা, মরিয়ম এবং তাদের নানু জুলেখার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিন মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ শেখ ফরিদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব। আমার কলিজা ছিঁড়ে যাচ্ছে। চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবু আবদুল্লাহ বলেন,সোমবার ট্রলারডুবির পর তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আরেক শিশু নিখোঁজ ছিল। পরে চাঁদপুর থেকে আসা একটি ডুবুরি দল সোমবার বিকেল ৪টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। প্রবল স্রোত ও ব্যাপক কচুরিপানার কারণে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে শিশু তামান্নার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’ বলেন তিনি।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন জানান, সোমবার দাউদকান্দি উপজেলার হাসনাবাদ এলাকা থেকে তিতাসের দুধঘাটা দরিয়াকান্দির উদ্দেশে ১১ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় ট্রলারটি। কাঁঠালিয়া নদীর মেঘনা চরকাঁঠালিয়া অংশে পৌঁছালে একটি মাছের ঘেরে এটি আটকা পড়ে। ওসি জানান, সে সময় ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় ট্রলারটি ডুবে যায়। সেখান থেকে মৃত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠে যান। চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু আবদুল্লাহ জানান,নদীর ওই অংশে প্রচুর কচুরিপানা ছিল। মাছের ঘেরও ছিল। সেখানে পৌঁছালে ট্রলারের নিচে থাকা পাখা খুলে পড়ে যায়। এ সময় ট্রলারে পানি উঠে তলিয়ে যায়।