কুমিল্লার মুরাদনগরে চাঞ্চল্যকর পাঁচ বছরের শিশু আবদুর রহমান অপহরন ও হত্যা মামলার পলাতক আসামী শাহিন(২০)কে গ্রেফতার করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।বুধবার রাতে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর ফ্লাইওভার থেকে তাকে আটক করা হয়।আটককৃত আসামী উপজেলার বোড়ারচর গ্রামের সালামত খানের ছেলে শাহিন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়,উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের গাংগাটিয়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে ৫বছরের শিশু আবদুর রহমান হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ- পরিদর্শক হামিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর এলাকায় শ্বাসরুদ্ধকর একটি অভিযান পরিচালনা করে শাহিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এই অপহরন ও হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আরো ৩আসামী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে।নিহত আবদুর রহমানের পিতা ফারুক মিয়া বলেন আমার ছেলের হত্যাকারী সব আসামীকে গ্রেফতার করার আমি খুশি।আমি সার্কেল স্যার ওসি স্যার ও হামিদ স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন অনেক চেষ্টার পর আমরা এই ঘাতককে আটক করেছি।বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান বলেন এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় সবশেষ আসামীকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
বাকী আসামীরা ইতিমধ্যে কারাগারে আছে। তাদের জবানবন্দী অনুযায়ী এই শাহিন শিশু আবদুর রহমানকে গলা টিপে হত্যা করে।আমরা এই মামলার বাকী কার্যক্রম অতি দ্রুত সম্পন্ন করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করবো।উল্লেখ্য গত ২০শে ফেব্রুয়ারি উপজেলার গাংগাটিয়া গ্রাম থেকে মাঝ রাতে ঘুমন্ত শিশু আবদুর রহমান(৫)কে অপহরণ করে ৫০লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে তার ফুফা নাজমুল হাসানসহ একটি চক্র।
অপহণের ৩৮দিন পর আসামীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উপজেলার বোড়ারচর এলাকা মাটির নিচ থেকে শিশু আবদুর রহমানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।