কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল গ্রামে যৌতুকের দাবিতে অভিনব কায়দায় স্ত্রী কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এঘটনায় বৃহস্পতিবার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইবুনালে ৫ জন কে নামীয় আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার বিবরণ ও গৃহ বধূ প্রমি আক্তার জানান জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন এর কাঠালিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিনের মেয়ে প্রমি আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন এর ষোলন গ্রামের মোঃ মফিজ এর ছেলে আব্দুল কাদের এর সঙ্গে প্রায় দেড় বছর পূর্বে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর প্রমি আক্তারের স্বামী আব্দুল কাদের এর দাবী বাবদ গত ১০ নভেম্বর ২০২০ইং ৬আনা ওজনের একজোড়া স্বর্নের রিং এবং ১২ আনা ওজনের স্বর্নের ১টি চেইন দেয় এবং ফ্রিজ কেনার জন্য ৩০ হাজার টাকা নগদ টাকা দেয়। আর এর মধ্যে প্রমি আক্তারের কোলে আব্দুর রহমান নামের ৫ মাসের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
আর সেই সাথে স্বামী আব্দুল কাদের কারন অকারণে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।গৃহবধূ প্রমি আক্তার আরও জানায় তার স্বামী,শ্বশুর,শ্বাশুড়ি ও ভাশুর সহ মিলে গত ১০ আগষ্ট ২০২১ ইং মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবীকরলে সে তা পিত্রালয় থেকে এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
যৌতুকের টাকাএনে না দিলে তাকে নির্যাতন করে বাম ভেঙ্গে দেয়।এর পর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং প্রমি আক্তার কে ঘরে কোন খাবার না রেখে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখে ৫ মাসের দুধের শিশুসহ।বিষয়টি বাড়ির ও আসে পাশের লোক জন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে।
প্রমি আক্তার আরও জানায় তার স্বামী,শ্বশুরের লোক জন ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে।গত ১নভেম্বর তাকে মার ধর এবং যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নির্যাতন করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গত ২ নভেম্বর গৃহ বধূকে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার প্রমি আক্তার বাদী ৫ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করে। আসামিরা হলো মোঃ আব্দুল কাদের,মোঃ রাসেল,উভয় পিতা মোঃ মফিজ, মোঃ মফিজ পিত মৃত্যু আছমত আলী, মমতাজ বেগম,স্বামী মোঃ মফিজ।