কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে দলবল নিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে মাহিবুর রহমান নামে এক চাকুরী প্রত্যাশী।শুধু তাই নয়,অধ্যক্ষের বাগানে রোপনকৃত বিভিন্ন ধরনের গাছও কেঁটে দিয়েছে।এ ঘটনায় অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন হায়দার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন জানান,কালাকচুয়া গ্রামের মোঃ মাহিবুর রহমান মহিব কালাকচুয়া ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার জন্য বহু চেষ্টা করে আসছে।কিন্তু সে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় শিক্ষকতা করতে পারেনি।এ নিয়ে সে বিভিন্ন সময় অধ্যক্ষকে ভয়ভীতি হুমকী ধমকি দিয়ে আসছিলো।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অধ্যক্ষ তাঁর অফিস কক্ষে শিক্ষদের নিয়ে মাদ্রাসার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বসে।আলোচনা শেষে শিক্ষকগন চলে যাওয়ার পর চাকুরী প্রত্যাশী মহিবুর রহমান মহিব,তাঁর ভাই মোঃ মাসুম ও মোস্তাকুর রহমান সহ ৩-৪ জনের একটি দল নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে চাকুরীর বিষয়ে জানতে চায়।
অধ্যক্ষ তাদের জানায়, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে চাকুরী দেয়ার সুযোগ নেই।এসময় তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষকে মারধর করতে থাকে।চাকুরী প্রত্যাশী মহিব হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে অধ্যক্ষের ডান হাত ভেঙ্গে দেয়।অধ্যক্ষের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকীরা চলে যায়।
যাওয়ার পথে মাদ্রাসার অদূরে অধ্যক্ষের বাগানে প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় গাছ কেঁটে ফেলে তাঁরা।পরে স্থানীয়রা অধ্যক্ষকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেয়।মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল হারেছ জানান, অভিযুক্ত মহিব একাধিকবার ওই মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেও উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
তাই ক্ষোভ থেকেই অধ্যক্ষের উপরে এ হামলা চালিয়েছে।তিনি আরো জানান,এর পূর্বেও এই মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক রুহুল আমীনকে মারধর করে অভিযুক্ত মহিব।সে ঘটনায় বিচার না পেয়ে রাগে ক্ষোভে ওই প্রভাষক মাদ্রাসার চাকুরী ছেড়ে দেয়।বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে,দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।