কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সর্ববৃহৎ বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ফেয়ার হসপিটালে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সালাউদ্দিন বলেন বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আমরা প্রতিষ্ঠানের হল রুমে জরুরি মাসিক মিটিং থাকার সময় হঠাৎ গঠনতন্ত্র বিরোধী আচরণ করে প্রতিষ্ঠানের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ডাঃ ইকবাল হোসেন।
এ সময় আমি নিষেধ করলে তিনি আমার উপর চড়াও হন এবং বিভিন্ন বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে আমাদের পরিচালক মাওলানা সাঈদ,মাওলানা কামাল হোসেন,কাজী ফরহাদ সহ গুরুত্বপূর্ণ পরিচালকদের উপর হামলা করে। এ সময় উপরে ১ম ফ্লোরে রিসিপশন,গ্লাসের দরজা, গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সামগ্রী,কম্পিউটার,এলইডি টিভি,ডাঃ ইকবাল হোসেনের চেম্বার বাধে সকল ডক্টরস রুম ভাংচুর করে যা ক্ষতির পরিমাণ অন্তত বিশ লক্ষ টাকার বেশি হবে বলে ধারণা করেন।
এ সময় উপস্থিত বিভিন্ন রোগীদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন তাদেরকে লাঞ্চিত করে তাদের কাছে থাকা দামী দামী জিনিস পত্র ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।এ সময় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রশাসন মোঃ আউয়াল বলেন তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে ডাঃ ইকবাল হোসেন স্যার যেটা করেছে সেটা অত্যান্ত নিন্দনীয়,এই হসপিটাল থেকে তিনি প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন সহ নানান সুবিধা নিয়েছেন কিন্তু আজ তিনি বহিরাগত মানুষ এনে প্রতিষ্ঠানের অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন।
এ সময় উপস্থিত আরেক পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন আমরা মাসিক মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলাম ডাঃ ইকবাল হোসেন স্যারের সাথে সালাহ উদ্দিন ভাই খারাপ আচরণ করা থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়।আর উপরে কারা ভাংচুর লুটপাট করেছে তা তিনি যানেন না।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে ডাঃ ইকবাল হোসেনকে হসপিটালে খুঁজে পাওয়া যায়নি।হামলার খবর পেয়ে বরুড়া থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।এ ব্যাপারে বরুড়া সূত্র জানা যায় তিন অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে।