কুমিল্লার তিতাসে লঞ্চের ছাদে ডিজে পার্টি করতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর শামীম হোসেনের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ভোরে তিতাস নদীর শিবপুর খালের মুখ এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শামীম তিতাস শিবপুর গ্রামের সিএনজি চালক আব্দুল মতিনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র। তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস সকাল সাড়ে ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার ভোরে তিতাস নদীর শিবপুর খালের মুখে মরদেহটি ভেসে উঠলে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ করে।
এর আগে সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিতাস নদীতে স্থানীয় যুবকরা মেসার্স বাদল সরকার অ্যান্ড সন্স নামে একটি লঞ্চ ভাড়া করে ডিজে গানের তালে ছাদে নাচানাচি করছিল। এক পর্যায়ে ওপর দিয়ে চলে যাওয়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে প্রায় ১৫ জন দগ্ধ হয়। এসময় পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয় শামীম হোসেনসহ তিনজন। পরে দুইজনকে উদ্ধার করেন স্থানীয় জেলেরা। আজ ভোরে ভেসে ওঠে শামীমের মরদেহ।
ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তার। এ ঘটনায় দগ্ধ দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রাতেই ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ উপজেলা প্রশাসন ও তিতাস থানা প্রশাসন নদীতে ডিজে পার্টি না করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পুলিশ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযানও পরিচালনা করেছে।