কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের আঠার বাঁক পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের ইমামের উপর অতর্কিত হামলা করেছে একই গ্রামের মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম।এ ঘটনায় গ্রামবাসী ছুটে এসে ইমাম সাহেবকে উদ্ধার করে।ঘটনার দিন প্রাণভয়ে ওই ইমামকে অন্যত্র রাত্রি যাপন করতে হয়েছে।প্রায় দুই মাস আগে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
এর আগে আমিনুল হক গ্রামের মসজিদে হামলা করে মসজিদের দরজা ভাংচুর করে এবং মসজিদের মুয়াজ্জেনের উপর হামলা করে।এ ঘটনায় সামাজিক বিচারে মসজিদের দরজার ক্ষতিপূরণ দাবী করায়,মসজিদ কমিটি সহ গ্রামের অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যাক্তির বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে আমিনুল ইসলাম।এছাড়াও সে আঠার বাঁক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজা,জানালা সহ বিভিন্ন অংশে ভাংচুর চালিয়েছে।
এ পর্যন্ত গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে সে একাধিক মিথ্যা মামলা করে তাদেরকে হয়রানি করছে।মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির কারণে তার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন ভয়ে কথা বলে না।এছাড়াও আমিনুল ইসলাম একই গ্রামের অলি উল্লাহ মজুমদারের ছেলে প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের বিদ্যুতের মিটারের তার কেটে দিয়েছে তিনবার।এলাকাবাসী তার কারণে অতিষ্ঠ।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রামবাসী নিরাপত্তা দাবী করেছে।
গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে,আমিনুল হক ঘটনার দিন কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই মসজিদের ইমামের দরজায় ইটপাটকেল মারতে থাকে।এবং সাথে সাথে ইমাম সাহেবকে হত্যা করার বজ্র হুমকি দিতে থাকে।আমিনুল হকের হামলায় ইমামের থাকার কক্ষের দরজা জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ঘটনার ভয়াবহতায় ইমামের আর্ত চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুলে এলে,আমিনুল হক পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে,আমিনুল হক বারবার গ্রামের মসজিদে ইমামতি দাবী করে আসছিল।ক্বারীয়ানা ট্রেনিং ছাড়া আমিনুল হকের আর কোনো যোগ্যতা নেই।তাছাড়া সে এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে।এমন স্বল্প যোগ্যতার কারণে তাকে ইমামতিতে নেয়া হয়নি বলে গ্রামবাসী জানায়।তাছাড়া একজন ইমাম হওয়ার মত পরিপূর্ণ যোগ্যতা তার নেই।
আমিনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর আনিত অভিযোগের বিষয় অবগত করলে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন,আমিনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী অভিযোগ দিলে কি ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় ভেবে দেখব।