বিশৃঙ্খলার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের ৯ জনের বিরুদ্ধে কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।২৩ জানুয়ারি (সোমবার) তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: মহসিন ও সভাপতি দিপক চন্দ্র মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সাধারণ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলারোধে গঠিত তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে গত ২৩ জানুয়ারি (সোমবার) কার্যকরী পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন ও কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে, ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংগঠনিক সকল কাজে বিশৃঙ্খলা ও মিথ্যা গুজব ছড়ানোসহ একাধিক অপরাধের সাথে সরাসরি ও প্রত্যক্ষ জড়িত থাকায় গনিত বিভাগের অফিস অ্যাসি¯ট্যান্ট কাম ডাটা প্রসেসর (আপগ্রেড) এ কে এম কামরুল হাসানের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের সদস্যপদ বাতিল ও পরিষদের ২ টি নির্বাচনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
সাংগঠনিক সকল কাজে বিশৃঙ্খলা ও মিথ্যা গুজব ছড়ানোসহ একাধিক অপরাধের সাথে সরাসরি ও প্রত্যক্ষ জড়িত থাকায় রসায়ন বিভাগের ল্যাব অ্যাসি¯ট্যান্ট (আপগ্রেড) নাছির উদ্দিন ও বাংলা বিভাগের অফিস অ্যাসি¯ট্যান্ট কাম ডাটা প্রসেসর (আপগ্রেড) মো: জিয়াউর রহমানের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের সদস্যপদ স্থগিত ও পরিষদের ১টি নির্বাচনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
একই অভিযোগে অভিযুক্ত মার্কেটিং বিভাগের অফিস অ্যাসি¯ট্যান্ট কাম ডাটা প্রসেসর মো: হাবিবুর রহমান ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অফিস অ্যাসি¯ট্যান্ট কাম ডাটা প্রসেসর (আপগ্রেড) মো: আবদুল কাদেরের সদস্যপদ বহ রেখে ১টি নির্বাচনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
তাছাড়া উল্লিখিত অভিযোগে ইন্ধনকারী হিসেবে অভিযুক্ত ফার্মেসী বিভাগের ল্যাব অ্যাসি¯ট্যান্ট (আপগ্রেড) মোঃ আবদুল আউয়াললে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের সদস্যপদ বাতিল ও পরিষদে অবাঞ্চিত ঘোষণা, এস্টেট শাখার বাগান মালী মোঃ সামছু মিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং পরিবহন শাখার ড্রাইভার মো: শাহিনুর হোসেন ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের ডেসপার্স ক্লার্ক মো: আবুল বাসারকে সাধারণ কর্মচারীদের পক্ষ থেকে তিরস্কৃত করা হয়।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সাংগঠনিক অপরাধে শাস্তি প্রাপ্ত কোন কর্মচারী অপরাধের দায় স্বীকার করে কার্যিনর্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করে শাস্তি পুনঃবিবেচনা করা যেতে পারে।উল্লেখ্য, সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলারোধে গঠিত তদন্ত কমিটি কর্তৃক গত ৯ জানুয়ারি দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুসারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কার্যকরী পরিষদ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।