ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের বামনকাঠি এলাকার বাসিন্দা মৃত শহিদুল্লা ফরাজীর ছেলে মো.আহাদ হোসেন মিরাজের বিরুদ্ধে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীকে ‘ফুসলিয়ে’ বিয়ে করে শাররিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিতৃহারা এসএসসি পরিক্ষার্থী কিশোরী গৃহবধু সাদিয়া আক্তার। সাদিয়া আক্তার খুলনা সিটি কার্পেশন এলাকার ১৭ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত সারফারাজ সিকদারের মেয়ে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর ) বেলা ১২ টায় রাজাপুর প্রেস ক্লাবে সাদিয়া আক্তারের চাচা ও ফুফু’কে নিয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তাব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ২০১৯ সালে স্কুল ছাত্রী থাকা কালীন সময়ে পরিচয় হয় বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের বামনকাঠি এলাকার মো.আহাদ হোসেন মিরাজের সাথে। মিরাজ উপজেলার ২ নং শুক্তাগড় ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বিউটি সিকদারের একমাত্র ভাই।
পরিচয় থেকে সম্পর্কতে পরিনিত হলে ২০২০ সালে আমি অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকায় খুলনায় বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের কার্যলয়ে এ্যাফিডেভিট সম্পন্ন করে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ব হয়ে একসাথে বসবাস শুরু করি। আমার বড় ননদ বিউটি সিকদারের ইউপি নির্বাচন চলাকালীন সময়ে তার মেয়েদের দেখাশুনার দ্বায়িত্ব নিয়ে তার বরিশালের বাসায় অবস্থান করি। তাদের সামাজিক প্রতিষ্ঠা লাভের মোহে আমাকে বিকিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবে আমি রাজি না হলে আমার স্বামী ও ননদদের দ্বারা শাররিক নির্যাতনের শিকার হয়ে শের-ই বাংলা ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
আমার স্বামী ও ননদদের চাপের মুখে একাধিক বার আমার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য হই। আমার বিবাহের রেজিস্ট্রীকৃত কাবিননামা না থাকায় এহেনো ঘটনার আমি কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। আমার স্বামী মিরাজ হোসেন বিভিন্ন সময়ে আমার কাছে মোটা অংকের যৌতুকের দাবী করেন। এক পর্যায়ে আমার স্বামী আমাকে ভুল বুজিয়ে খুলনায় আমার ফুফু’র বাসায় আমাকে রেখে আসে। মিরাজকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য নানা হুমকি দেয় আমার ননদরা। গত ১৭ই নভেম্বর আমার গ্রামের বাড়ীর ঠিকানায় মিরাজ কর্তৃক স্বাক্ষরকৃত একখানা তালাকের নোটিশ ডাক মারফত পাঠিয়ে দেয় তারা।
একজন এতিম নাবালিকা আমি ফুফু’র অশ্রয়ে তার কাছেই বড় হয়েছি। এ অবস্থায় আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার অভাব বোধ করতেছি তাই নির্যাতনকারী ও হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছি।
এ বিষয়ে ২ নং শুক্তাগড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিউটি সিকদার বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় সমাজে আমাদের সম্মান নষ্ট করার জন্য এ মনগড়া অভিযোগ এনেছে।