মাদারীপুরের কালকিনিতে রাঁতের আঁধারে ঈদ শুভেচ্ছার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে বসতঘর,দোকানপাট ভাংচুর,লুটপাট ও হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে কালকিনি পৌরসভার ৩নং(শিকারমঙ্গল) এলাকায় এঘটনা ঘটে।
পুলিশ,ভুক্তভোগীও এলাকা সুত্রে জানাযায়,কালকিনি পৌরসভার শিকারমঙ্গল ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার বেপারী ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছার ফেস্টুন এলাকার বিভিন্ন গাছে টাঙ্গিয়ে রাখেন। কিন্তু রাঁতের আঁধারে কে বা কাহারা ওই ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেন।
এ ফেস্টুন ছেড়াকে কেন্দ্র করে কমিশনার আনোয়ার বেপারীর সমর্থকের সাথে গতকাল শিকারমঙ্গল এলাকার মাসুম সরদার,রুবেল সরদার,হ্রদয় সরদারের সাথে কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। আজ রবিবার সকালে তারই সুত্রধরে এ হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হন।
খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থাল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এঘটনায় উভয় পক্ষের মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানাযায়।
মাসুম সরদারের স্ত্রী মালা বেগম বলেন,পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কমিশনার আনোয়ার বেপারীর নের্তৃত্বে প্রায় ৪০/৫০ জন লোক একসাথে বোমা ফাটিয়ে রামদা,টেঁটা,ইটপাটকেল মেরে আমার ঘরে হামলা ভাংচুরও লুটপাট করে। ঘরের ভিতর ডুকে সুকেস থেকে ৫ ভরি স্বর্ন,নগদ ৫ লাখ টাকা ও একটি টার্চ মোবাইল নিয়ে যায়।
কমিশনার আনোয়ার বেপারী বলেন, ওরা আমার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে, জানতে চাইলে আমার উপর হামলা করে আমাকে কুপিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং ঘটনা স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্তা নিব।