1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
পানির অভাবে বোরো চাষ হয়নি কয়েক শতএকর জমি
বাংলাদেশ । মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পানির অভাবে বোরো চাষ হয়নি কয়েক শতএকর জমি

তিমির বনিক:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ৪৪০ বার পড়েছে

মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার আজমেরু, দক্ষিণ ভুজবল গ্রাম ও রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘী হাওরে সেচ সুবিধা না থাকায় প্রায় এক হাজার একর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে না। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এসব এলাকায় সেচ ব্যবস্থা চালু করা হলে অনাবাদি জমিগুলো চাষের আওতায় আসবে। চাষের আওতায় এলে এসব জমিতে অনেক ফসল উৎপাদন হবে।

জানা গেছে, সদর উপজেলার আজমেরু ও দক্ষিণ ভুজবল গ্রামের কৃষকরা লছিধারা ছড়া খাল দিয়ে নৌকায় ধান নিয়ে একসময় যাতায়াত করতেন। এই ছড়ার পানি দিয়ে দুটি গ্রামের কৃষক অনায়াসে কয়েকটি ফসল চাষাবাদ করতেন। স্বাধীনতার পর খাঞ্জার হাওরের লছিধারা ছড়া খাল পলি ও বালুতে প্রায় আড়াই হাজার ফুট ভরাট হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় প্রভাবশালীরা তা দখলে নেয়।

এতে পানির উৎসস্থল কোদালি ছড়ার সঙ্গে সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে আজমেরু ও দক্ষিণ ভুজবল গ্রামের চার শতাধিক কৃষক পানি না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত। তাদের দাবি, লছিধারা ছড়া খাল পুনরায় উদ্ধার করে খননের মাধ্যমে পাশের কোদালি ছড়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার। এতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

অপরদিকে, রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘী হাওরের সাত গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক কৃষক পানির অভাবে ৫০০ একর জমিতে বোরো চাষ করতে পারছেন না। সেচ নিশ্চিত করতে কাউয়াদিঘী হাওরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা রাস্তার পাশে দিয়ে ১৯৮২ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১০৫ কিলোমিটার খাল খনন করে।

দীর্ঘদিন অব্যবস্থাপনায় পলি জমে অধিকাংশ খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেচের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এলাকার কৃষকরা বোরো আবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কাউয়াদিঘী হাওরের কৃষক করি মিয়া, মানিক মিয়া ও ফজলুর আলী জানান, কাউয়াদিঘী হাওরের গোয়ালিকারা এলাকায় একটি জলকপাট নির্মাণ করা হলে কৃষকরা হাওরের পানি সেচের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

এতে পানির সমস্যা সমাধান হবে। মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, আজমেরু ও ভুজবল গ্রামের লছিধারা খাল পুনরায় খনন করলে এখানে বর্ষার পানি ধরে রাখা যাবে। পাশাপাশি কোদালি ছড়ার সঙ্গে যুক্ত করে দিলে কোদালি ছড়ায় পানি আসবে।

কাউয়াদিঘী হাওরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষকের দাবি অনুযায়ী কাউয়াদিঘী হাওরে জলকপাটটি কোন জায়গায় করলে সবার উপকার হবে, এর সম্ভাব্যতা যাচাই করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারপর ব্যবস্থা নিতে হবে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই এলাকা জরিপ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদর দফতরে পাঠিয়েছি। আশা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে।

এতে সমস্যার সমাধান হবে। মৌলভীবাজার জেলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান বলেন, ডিজাইন করে ব্লক প্রক্রিয়ায় খালটি পুনরায় খননের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই কাজ শুরু হবে। তিনি আরো বলেন কৃষকের দ্বারা আমাদের খাদ্যভাব পুরন করেন। দেশ এগিয়ে চলছে কৃষকের দ্বারা।

তাদের জন্য সরকার সকল স্তরের সুবিধা সম্বলিত কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। কাউয়াদিঘী হাওর এলাকার বাসিন্দা সুন্দর আলী বলেন, কয়েক’শ একর জমি পতিত পড়ে আছে। খালের আশপাশে থাকা কিছু জমিতে চাষ হয়েছে। পাইপ লাগিয়ে পানি দেওয়া হয়।

এতে খরচ অনেক বেশি। একই এলাকার বাসিন্দা শফিফ মিয়া বলেন, কয়েক বছর ধরে পানির অভাবে বোরো চাষ করতে পারি না। সমস্যা সমাধানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা তাও জানি না। আমরা সাধারণ কৃষক সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD