মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লঘুচাপের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের লাউয়াছড়ায় পাহাড় ধ্বসে ৬ ঘন্টা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এছাড়া বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুপুর ১২টায় ভানুগাছ রেলওয়ে সেতু এলাকায় ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েকটি এলাকায় রাস্তার ওপর দিয়ে পানি উপচে সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত রয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলি জমিসহ মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ৪-৫টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ফলে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, মুষলধারে বৃষ্টি ও উজানে পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। মঙ্গলবার সকালে নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৪ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের লাঘাটা ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেয়ে পানির চাপে দমকলের ঝিলের ওপর স্থাপিত কালভার্টটি ভেঙ্গে যায়। ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে সুনছড়া-চিৎলীয়া-কামারছড়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। এছাড়া উপজেলার গোলেরহাওর এলাকায় ধলাই নদীর বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে ফসলী জমিসহ কমলগঞ্জ-আদমপুর এবং শমসেরনগর-কুলাউড়া সড়কের শমসেরনগর বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ওপর দিকে কমলগঞ্জ পৌরসভার খুশালপুর, ইসলামপুর, মাধবপুর, আদমপুর, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, মুন্সিবাজার, পতনঊষার ও রহিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চলের আউশ ধানের জমি তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিব আহমেদ বলেন, ধলাই নদীর পানি মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ভানুগাছ রেলওয়ে সেতু এলাকায় বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ধলাই নদীর আকস্মিক পানি বেড়ে গেছে। কমলগঞ্জে কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন ধলাই নদীর পানি প্রবাহের দিকে নজরদারি করছেন বলেও জানান।