আপত্তিকর কনটেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইমো’র কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২] সুস্থ কমিউনিটি গড়ে তোলাকে সবসময় প্রাধান্য দিয়ে বিবেচনা করে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জনপ্রিয় অ্যাপ ইমো। আর এক্ষেত্রে, যোগাযোগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্ল্যাটফর্মটি ভয়েসক্লাবের মাসিক এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট উন্মোচন করেছে। চলতি মাস থেকেই এ রিপোর্ট উন্মোচন করা হয়। মানুষকে কানেক্ট করার মাধ্যমে তাদের জীবন সমৃদ্ধ করতে ইমো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্ল্যাটফর্মটি এর ব্যবহারকারীদের জন্য একটি প্রাণবন্ত এবং সুস্থ অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তুলতে কাজ করছে।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার লক্ষ্যে আপত্তিকর কনটেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইমো ব্যবহারকারীদের জন্য কঠোর কমিউনিটি নীতিমালা ও নির্দেশিকা (দেশ অনুযায়ী তৈরি) তৈরি করেছে। ভয়েসক্লাব ইমো’র নতুন অডিও সোশ্যাল প্লেস, যা ব্যবহারকারীদের তাদের নিজস্ব অডিও কমিউনিটি তৈরি করে সরাসরি কথোপকথন উপভোগের সুযোগ প্রদান করে। এটি ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ভয়েস কনটেন্ট, যেমন: ডেটা বিনিময়, কর্মক্ষেত্রের যোগাযোগ, বিনোদন এবং প্রতিদিনের গল্প শেয়ারের সুবিধা দেয়।
গত ডিসেম্বর ভয়েসক্লাব বাংলাদেশে তদন্তের ভিত্তিতে নিয়ম ভঙ্গকারী ৩৯ হাজার রুম মুছে ফেলে। এছাড়াও, প্ল্যাটফর্মটি যৌনতা, সহিংসতা এবং উস্কানিমূলক দুই লাখেরও বেশি ইস্যু মুছে ফেলে। পাশাপাশি, ভয়েসক্লাব অসঙ্গত আচরণ করা এক লাখের বেশি ব্যবহারকারীর ভয়েস ফাংশন সীমাবদ্ধ করেছে এবং বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের রিপোর্ট করা ৪৬ হাজারের বেশি সমস্যাযুক্ত কনটেন্ট সরিয়ে দিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে, ভয়েসক্লাব বিশ্বব্যাপী ৭০ হাজারের বেশি নিয়ম লঙ্ঘনকারী রুম সরিয়েছে; সহিংসতা এবং উস্কানিমূলক ৩ লাখের বেশি সমস্যা সম্পর্কিত বিষয় মুছে ফেলেছে।
এছাড়াও, ভয়েসক্লাব অসঙ্গত আচরণ করা ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ব্যবহারকারীর ভয়েস ফাংশন সীমাবদ্ধ করেছে এবং ব্যবহারকারীদের রিপোর্ট করা ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি অসঙ্গত কনটেন্ট সরিয়ে দিয়েছে। সকল অঞ্চলের মানুষের নিরাপদ যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ইমো’র প্রযুক্তি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও ২৪/৭ গ্লোবাল টিম নিয়ম লঙ্ঘনকারী সম্ভাব্য কনটেন্ট, অ্যাকাউন্ট শনাক্ত ও পর্যালোচনার পিছনে সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখছে। ইমো এর অ্যাপে ভয়েসক্লাবে নিয়মিত কমিউনিটি গাইডলাইন এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ অব্যাহত রাখবে এবং ব্যবহারকারীদের একটি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক প্ল্যাটফর্ম প্রদানে ধারাবাহিকভাবে নিজেদের উন্নয়ন করে যাবে। এছাড়াও, যোগাযোগের জন্য সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং নিরাপদ স্থান হিসেবে সকল ব্যবহারকারী যাতে ইমো ব্যবহার করতে পারে, এ লক্ষ্যে কাজ করছে ইমো।
ইমো তাৎক্ষণিক যোগাযোগে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম ইমো। এ প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষের সাথে অন্য প্রান্তের মানুষের যোগাযোগ সহজ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করা। ইমো’র সুবিধাজনক অডিও ও ভিডিও সেবার মাধ্যমে বিশ্বের দেড়শ’টিরও বেশি দেশে, ৬২টি ভাষায় ২০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন। প্রচলিত অন্যান্য অ্যাপের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ডেটা ব্যবহার সাশ্রয় করে ইমো এবং ইমো’র শীর্ষস্থানীয় যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বিশ্বজুড়েই তাদের বন্ধু, পরিবার বা বিভিন্ন কমিউনিটিতে সফলভাবে যোগাযোগের পাশাপাশি নানা বিষয় নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করতে পারছেন।