তালা ঝুলিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা, রমজানে ক্ষতিগ্রস্ত পুরো পরিবার” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে উপজেলা চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে মিথ্যে তথ্য দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী হোটেল ব্যবসায়ী নেসার আহমেদ। বুধবার (২৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের মিস্ত্রীপাড়া মোড়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে নেসার আহমেদের ছেলে আরাফাত ফয়সাল বাবার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম দুলু সরকার, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত সরকার প্রমুখ।নেসার আহমেদ বলেন, মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় আমার জন্ম। মিস্ত্রিপাড়া মোড়েই আমার হোটেল। দীর্ঘ দিন থেকে ব্যবসা করছি। এলাকার মুরব্বি প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান জাওয়াদুল হক আমাকে অত্যান্ত স্নেহ করতেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনও আমার অভিভাবক।
গত ২২ মার্চ আমার ছেলেকে নিয়ে একটা গণ্ডগোল সৃষ্টি হলে আমি ছেলেকে নিজেই থানায় হস্তান্তর করি। কিন্তু তারপরও কিছু অচেনা লোকজন আমার বাসায় হামলা করে মালামাল বের করে দেয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা মারে।তাৎক্ষণিক উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টা জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে মালামাল পূনরায় ঘরে ঢুকিয়ে দেন এবং পরের দিন উপজেলা চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলু সরকার পুলিশের সাথে কথা বলে হোটেলের তালাও খুলে দেন।
হঠাৎ জানতে পারি গত ২৮ মার্চ মোতালেব হোসেন হক নামে সাংবাদিক দৈনিক দাবানল পত্রিকায় আমার নাম উল্লেখ করে উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে বিভ্রান্তিমুলক মিথ্যে বানোয়াট সংবাদ করেছে। প্রকৃতপক্ষে উক্ত সাংবাদিককে আমি চিনিনা, জানিনা। তার সাথে আমার কোন প্রকার কথা বা যোগাযোগ হয় নাই।
তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ভাইজান এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি। বিশেষ করে ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সকলে আমরা তাকে অত্যান্ত সম্মান করি। তিনি আমাদের বিপদে আপদে পাশে থেকে সহযোগীতা করেন। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের অনেক স্নেহ করেন। সাংবাদিকের মনগড়া সংবাদের নিন্দা জানাচ্ছি।
নেসারের ছেলে আরাফাত ফয়সাল বলেন, হক সাংবাদিক মাঝে মাঝেই উপজেলা চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে উদ্ভট ও মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেন। আমাদের ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছেন। যা ঘৃণিত ও অপেশাদারি কর্ম। ইতোপূর্বে এমন অপকর্ম, ভুয়া নিউজ করা ও চাঁদাবাজির জন্য জনগণ প্রকাশ্যে তাকে গণধোলাই দিয়েছিল।