1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
আমন ধানের ডগায় হেমন্তের শিশির বিন্দু
বাংলাদেশ । বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আমন ধানের ডগায় হেমন্তের শিশির বিন্দু

রুহুল আমিন:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১
  • ৪০৭ বার পড়েছে

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ৮ ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠ জুড়ে অপরুপ সৌন্দর্যে ভরা আমন ধানের ডগায় দুলছে এখন হেমন্তের শিশির বিন্দু। দিগন্ত জুড়ে যে দিকে তাকায় শুধু সবুজ আর সবুজ। চারিদিকে সবুজের সমারোহে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। ঋতু শরৎকে বিদায় দিয়ে হেমন্তকে বরণ করেছে প্রকৃতি। উপজেলার প্রতিটি মাঠে জুড়ে ধানের শীষে পড়ছে শীতের শিশির বিন্দু। সকাল হলেই দেখা মিলছে সাদা কুয়াশার ভেলা। এই কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।

শস্য শ্যামলা, সবুজ বাংলার কৃষি প্রধান দেশের রাজশাহী অঞ্চলের নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার দিগন্ত জুড়ে খোলা মাঠে দুলছে এখন কৃষকের কাঙ্খিত স্বপ্ন। ধুধু চোখে নজর কাড়ছে আমন ধানের ক্ষেত। ভালো ফলনের আশায় আমন ধান পরিচর্যায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পারকরছেন। মাঠে মাঠে চলছে আমন ধান পরিচর্যার মহোৎসব। কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে ধান পরিচর্যার কার্যক্রম। ধান ক্ষেতগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

কার্তিক মাসের শুরতেই ধানের গাছ এখন শিশির ভেজা বাতাসে দুলছে। সম্প্রতি মাঠের চারিদিকে এখন সবুজের সমারোহ। গত বছরের চেয়ে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে মাঠ জুড়ে। এদিকে উপজেলার ডিলারদের নিকট পর্যাপ্ত পরিমান তেল ও সার পাওয়ায় কৃষকরা অনেকটা আশ্বস্ত হয়েছে। নওগাঁ জেলার খাদ্য উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে আত্রাই। এ জন্য বোরো মৌসুমে সেচ কার্যক্রম যথাযথ রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগও রয়েছে তৎপর।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৫০৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও চাষ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে এবার আমন চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কৃষক জহির উদ্দিন জানান, এবারে চারা রোপনের সময় প্রাকৃতিক পানি সংকট থাকলেও পরবর্তীতে বৃষ্টির পানিতে ধানের গাছ এখন ভাল রয়েছে। বন্যা কিংবা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশানুরুপ ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।

উপ-সহাকরী কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলী জানান, কৃষকদের ক্ষেতে কঞ্চি পুতে দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে ওই সমস্ত কঞ্চিতে পাখি বসে জমির ক্ষতিকর পোকা নিধন করতে পারে। সেই সাথে পরিচর্যা করে কম মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করে অধিক ফলনের কলা-কৌশলও কৃষকদের শেখানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে এম কাউছার হোসেন জানান, চলতি আমন মৌসুমে কৃষকদের কাঙ্খিত ফসল অর্জনে প্রতিটি ব্লক পর্যায়ে গিয়ে ক্যাম্পেইনসহ নানা ধরণের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও মাজড়াপোকা এবং অন্যান্য আবাদ বিনষ্টকারী পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা পাচিং সহ আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন। ফলে উপজেলার কোথাও মাজড়া পোকা, কারেন্ট পোকার আক্রমণ নেই। তবে এবারো আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD