আফগানিস্তানে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান।আগস্টে আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর তাদের সাথে প্রথম সরাসরি আলোচনার আগে একটি মূল ইস্যুতে তালেবান তাদের আপোষহীন অবস্থান তুলে ধরেছে।
কাতারের রাজধানী দোহায় চলতি সপ্তাহান্তে তালেবানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মার্কিন প্রতিনিধিরা বৈঠক করছেন।উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা বলেছেন যে,সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং সেখান থেকে বিদেশী নাগরিক এবং আফগানদের সরিয়ে নেয়া।
তালেবানরাও সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে নমনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছে।তালেবানের রাজনৈতিক মুখপাত্র সুহেল শাহীন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন,আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান সক্রিয় ইসলামিক স্টেট গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের সাথে কোন সহযোগিতা হবে না।
গত শুক্রবার আফগানিস্তানের কুন্দুজশহরের একটি শিয়া মসজিদে জুমার নামাজের সময় আত্নঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।এতে কমপক্ষে ১০০ লোক হতাহত হয়েছেন।তবে এর মধ্যে ৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।এটি সহ সাম্প্রতিক কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
এ প্রসঙ্গে শাহীন বলেন,আমরা স্বাধীন ভাবে আইএসেরর মোকাবেলা করতে সক্ষম।প্রসঙ্গত,আইএস২০১৪ সালে পূর্ব আফগানিস্তানে আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে দেশটির শিয়াদের উপর নিন্তর হামলা চালিয়েছে।এটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবেও দেখা হয় যা আমেরিকার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর আশাঙ্কার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।