মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী’র বসতঘর আগুনে পুড়ে গৃহহীন নারীর পাশে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা নিয়ে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান উপস্থিত। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪টায় শমশেরনগর ইউনিয়নের ভাদাইর দেউল গ্রামে এ সহায়তা দেওয়া হয়। জানা যায়, গত ৩রা ফেব্রুয়ারি বিধবা নারী নুরজাহানের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলে পেশায় রং মিস্ত্রি নুর ইসলাম (মোল্লা) বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ১২দিনের মধ্যে দূর্ঘটনা বসতো রাতে তার বসত ঘরে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখায় প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। ঘটনার পর থেকে খোলা আকাশের নিচে বাসযোগ্য করে অসহায় হয়ে দিনাতিপাত করছিলেন বিধবা নারী নুরজাহান বেগম।
মানবিক প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ নারীর বাড়ীতে গিয়ে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন সামগ্রীর মনন্বয়ে দুই বস্তা শুকনো খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন- শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ, নারী সদস্য শারমিন বেগম চৌধুরী ও সদস্য দিলদার আহমেদ।
এ সময় শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ বলেন, ফুলতলী ট্রাষ্ট থেকে এ স্থানেই শীঘ্রই একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, গণমাধ্যমে এ মানবিক প্রতিবেদন পড়েই এই অসহায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে দেখতে এসেছি। রেলওয়ের বন্দোবস্তকৃত ভূমিতে তাদের জন্য কমপেক্ষ ৫ শতক খাস জমি বের করে বসতঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। এ দায়িত্ব নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হককে দেওয়া হয়েছে।