চলমান লকডাউনে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।আজ শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বিবাহ বন্ধ করেন ইউএনও।
জানাগেছে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তারের (১৩) সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুরের দুলাল মিয়ার ছেলে সজীব মিয়ার (২৩) বিয়ের আয়োজন করা হয়। লকডাউনের কারণে আয়োজনটি অনেকটা গোপনে করা হয়।এসময় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মেয়ের বাবাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং পরিবারের কাছ থেকে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিয়ে না দেয়ার মুচলেকা নেয়া হয়।
পরে উপস্থিত সকলকে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করার সাথে বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটলে তাকে অবহিত করার অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার বলেন,আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারলাম উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তার(১৩)কে বাল্য বিবাহ দিতে যাচ্ছে লকডাউনে আয়োজনটি অনেকটা গোপনে করা হয়।তারপর ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হই। বরযাত্রী তখনো আসেনি।
মেয়ের বাবাকে বিয়ের ব্যপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে।পরে তাকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তার কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয় যে আগামী ৫ বছরের আগে তিনি তার মেয়ে বিয়ে দিবেন না।এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সহিদ মিয়া, মহিলা ইউপি সদস্য সাফিয়া খাতুন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।