আজ শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম.উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর। মাহবুবুল আলম হানিফ তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, কিছুদিন আগে বিএনপির নেতারা বললেন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে,
রাজনৈতিক কর্মসূচিও দেওয়া শুরু করলেন। তারা বিএনপি নেত্রীর মুক্তি চাইলেন। খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি। কারা বিধান অনুযায়ী তিনি সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে যাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মানবিক দিক বিবেচনায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাসায় চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এরপর বিএনপি নেতারা দাবি করলেন, খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে,
তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে এখন বাড়িতে আছেন। তিনি বলেন, তারা নতুন ইস্যু তৈরি করলেন নির্বাচন কমিশন নিয়ে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচন কমিশন গঠনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পন্থা অবলম্বন করেছেন। আমাদের দেশে যেহেতু নির্বাচন কমিশন আইন ছিল না, রাষ্ট্রপতি সব দলের সঙ্গে আলোচনা করলেন।
পরামর্শ করে তাদের দেওয়া নামের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠন করে; সার্চ কমিটির নামগুলো যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এটাই ছিল গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এ সময় তিনি বলেন, আগামী ৫০ বছরেও বিএনপির রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে তারা হতাশ। আর হতাশ হয়েই তারা নানা ধরনের মিথ্যাচার করে রাস্তায় নামছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয় সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার এর পরিচালনায় বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।