1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
আঁকা বাঁকা পথে মুখবন্ধনীতে গরুর পাল
বাংলাদেশ । বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আঁকা বাঁকা পথে মুখবন্ধনীতে গরুর পাল

তিমির বনিক:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ৪৬৪ বার পড়েছে

সবুজ শ্যামল, চারদিকে সবুজের কোলাহলে সমারোহ। রয়েছে আঁকাবাঁকা চলার মেঠোপথ। রাখালেরা সেই সরু পথে গরু নিয়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে। কনকনে শীতে দল বেঁধে চলছে গরুর পাল। পথের দু প্রান্তে বিস্তৃত ফসলি জমি, চারিদিকে ঘেরা সবুজের সমারোহ। এই ফসল যেনো নষ্ট না হয়, সে জন্য প্রতিটি গরুর মুখে আছে মুখবন্ধনী। এমন দৃশ্য দেখা গেলো মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘির হওরাঞ্চলে। হাওরে এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে গরু লালন পালন। কারো দুটি কারো পাঁচ থেকে দশটি। বোরো চাষ, মাছ শিকার এর পাশাপাশি হাস-মোরগ গরু-ছাগল লালন পালনে ঝুঁকছে মানুষ।

কথা হয় রাখল বালক শৈলেন দাশের সঙ্গে। গরুগুলোকে হাওরের পতিত জমিতে ঘাস খাওয়ানো জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, হাওরে আসা যাওয়ার সময় রাস্তার দুপাশেই থাকে ফসলি জমি। এখানের প্রায় সব জমিতেই ধানের চারা রোপণ করা আছে। গরু নিয়ে এ পথে আসা যাওয়ার সময় রোপণকৃত চারাগাছ যেনো গরুগুলো খেয়ে নষ্ট না করে, সে জন্য প্রতিটি গরুর মুখে থাকে মুখবন্ধনী।

কথা হয় কৃষক যতীন্দ্র দাশের সঙ্গে, তিনি জানান, আমার ছয়টি গরু রয়েছে কৃষি ক্ষেতের পাশাপাশি এগুলো লালনপালন করি, এতে করে আমার পরিবারে কিছু অতিরিক্ত আয় হয়। জানা গেছে, আগে ধান মাড়াইয়ের সময় গরুদের মুখবন্ধনী পরানো হতো, যাতে খাবারের দিক মনোযোগ না দিয়ে ধান মাড়াইয়ে পাঁ চালাতে পারে তারা। যান্ত্রিক যুগে এখন গরু দিয়ে ধান মাড়াই দেওয়া নেই বললেই চলে। এর ফলে মুখবন্ধনীর ব্যবহার কমে গেছে। এখন শুধু হওরাঞ্চলের কোন কোন বাড়িতে মুখবন্ধনী রাখা হয়, যারা দূরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান। মুখবন্ধনী লাগানো থাকলে চলার পথে গরু আশপাশের ফসল খেতে পারে না।

কথা হয় এই এলাকার অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নরেন্দ্র বিজয় দাশ জানান, মূলত বেতবাঁশের বেত দিয়ে এই মুখবন্ধনী তৈরি হয়। বেতবাঁশ সবসময় এখানে পাওয়া যায় না। বিকল্প হিসেবে পাঁচ লিটারের পানি কিংবা তেলের বোতল মুখবন্ধনী হিসেবে ব্যবহার হয়। বোতলের উপরের অংশ কেটে ছোট ছোট ছিদ্র করে বাঁশের মুখবন্ধনীর মতোই সুতলি লাগিয়ে তৈরি করা হয়।এ এলাকার ইউপি সদস্য রিপন দাশ মেম্বার বলেন, বোরো চাষের ওপর হাওর এলাকার মানুষ নির্ভর শীল, পাশাপাশি বর্ষায় অনেকে মাছ শিকার করে বিক্রি করেন। বর্তমান এই এলাকায় প্রচুর হাস মোরগ ও গরু ছাগলের ছোট ছোট খামার রয়েছে। বিশেষ করে গরুর খামার বেশি। এই গরুগুলোকে ঘাস খাওয়াতে পতিত জমি ও বাগানে নিয়ে যান কৃষকরা।

ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ বলেন, শীত-বর্ষায় হাওরে দু’রকমে জীবন যাপন। শীত সব শুকনো থাকলেও বর্ষায় থৈ থৈ পানি। বর্ষায় গবাদিপশু একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে কচুরিপানা খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। আর শুষ্ক মৌসুমে হাওরের উন্মুক্ত প্রান্তরে বিচরণ করিয়ে লালন পালন করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD