জন্ম থেকে নয় বয়সে এখন আজেরা খাতুন চোখে দেখতে পারে না। বয়সে আর গরীবের কষ্টে শেষ বয়সে এখন চোখে দেখে না। অনেক বছর আগে প্রিয় স্বামী আজেরা খাতুনকে ছেড়ে পর দেশে পারি দিয়েছে। এক মেয়েও এক ছেলে আছে। ভাগ্য যার এমন,শারীরিক প্রতিবন্ধী তার ছেলে পরিবারের সংসার নিয়ে আছে কষ্টের আর এক জীবন। মার শেষ বয়সে চোখে দেখে না। সংসারের কষ্টের আর না খেয়ে যে সংসার তার মাঝে কিভাবে হবে এই বৃদ্ধ মায়ের চোখের চিকিৎসা। কিন্তু পরিবারের দারিদ্র্য তার চোখের চিকিৎসা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ কথা গুলো এক পরিবারের ‘ যার নিজের ভিটা বা কোন জায়গা নাই। মেয়ে আছে তবে বিধবা’ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী? যার কথা বলছি তার নাম।
আজেরা খাতুন (৬২), স্বামী মৃত হাসিম মিয়া। একমাত্র পুত্র মুসলিম উদ্দিন শারীরিক প্রতিবন্ধী। সেও কোন কাজ করতে পারে না। আজেরা খাতুনের একমাত্রও বিধবা অসুস্থ মেয়ে শমেলা খাতুন পেটের দায়ে অন্যের বাড়িতে কাঁথা সেলাই করে কোন রকমে মা মেয়ের জীবন কোন ভাবে চলে। তবে মার চোখের চিকিৎসা করতে এতো টাকা পাবে কোথায়?
আজেরা খাতুনের স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বাহেরবালী গ্রামে। স্বামী হাসিম মিয়ার নিজস্ব বাড়ি না থাকায় স্বামী মারা যাওয়ার পর বিধবা আজেরা খাতুন দুই সন্তানকে নিয়ে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এসে এক আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নেন। ১০ বছর যাবৎ ওই খানেই তারা বসবাস করছেন।সাংবাদিকরা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আজেরা খাতুন তার মেয়ে ও ছেলে ছোট্ট ঘরে বসবাস করছেন।আত্মীয় বাড়িতে অস্থায়ী ভিত্তিতে টিনের ঘর তৈরি করে থাকেন।
ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মেয়ে বিধবা মেয়ে আয় দিয়েই কোনো রকমে দিন কাটে।তার মধ্যে দুই বছর যাবৎ চোখের সমস্যায় ভোগছেন আজেরা খাতুন। এক চোখে সামান্য দেখলেও অন্য চোখে কিছুই দেখেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ হলো অপারেশন করলে তিনি আবার দেখতে পারবেন। আশা আছে সাধ্য নাই। চিকিৎসা হলে আবার চোখ ভরে দুনিয়া দেখবে ‘ নামাজের ওযু করে মহান সৃষ্টিকর্তাকে মন ভরে ডাকবে। ওযু করতে গিয়ে চোখে না দেখে অনেক বার পড়ে আঘাত পেয়েছেন।
কষ্ট আর বৃথা নিয়ে প্রতি বার আল্লাহর ডাকে নামাজ এখনোও পড়ে।গরিবি আর রোগে কষ্টের ভাষায় আজেরা খাতুন বলেন, সে চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভূগছেন বহুদিন থেকে। অর্থাভাবে দু’বেলা খেতে পারছেন না। এর ওপর সুচিকিৎসার জন্য টাকা কোথায় পাবেন। টাকার অভাবে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না। একবার কিছু টাকা ধার দেনা করে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসক চোখ দেখে অপারেশন করতে বললেন,পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ টাকা লাগবে২০ হাজার। আমার “যার নুন আনতে পান্তা মিলেনা”এতো টাকা কোথায়পাব বলে, চোখের আলো আল্লাহ নিলা’ চোখের পানি বন্ধ হলো না’সেই চোখের পানি কাপড়ের আঁচলে মুছে আজেরা খাতুন বলেন, মৃত্যুর আগে যদি আবার আগের মতো চোখে দেখে মরতে পারতাম! “দীর্ঘশ্বাসে তিনি বলেন’টাকা আর হলোনা তাই আর চিকিৎসার জন্য যাওয়াও হলোনা?? এতে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু অসহায় পরিবারটির পক্ষে আদৌও সম্ভব নয় টাকা যোগাড় করা। ফলে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। আজেরা খাতুনের জাতীয় পরিচয় পত্রনং -৪৮১০৬ ৭৭৩৯৪৯৩২ তাঁর সাথে যোগাযোগের জন্য, মোবাইল নম্বর- ০১৭৩৬৯৯৬৫৫৭