দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অর্থনৈতিক শুমারী জরিপের জন্য গণনাকারী ও সুপারভাইজার অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বঞ্চিত গোলাম আযম, আসাদ সরকার, মনোয়ার হোসেন নাঈমসহ বেশকিছু যুবক।
বিধি অনুযায়ী শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা নিয়োগ পাওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী প্রতিনিধির সমঝোতায় নিয়োগ পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লার্ক, ঠিকাদার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতসহ নিজেদের মনোনীত ব্যক্তিরা। এতে মেধা বা যোগ্যতার কোনো মূল্যায়ন না করে অযোগ্য ও অবৈধ লোকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফলে শিক্ষিত বেকাররা বঞ্চিত হয়েছে। এ কারণে উপজেলা জুড়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। কিন্তু তারপরেও বিচলিত নয় উপজেলা পরিসংখ্যান বিভাগসহ নিয়োগ কমিটি।
বঞ্চিত গোলাম আযম, আসাদ সরকার, মনোয়ার হোসেন নাঈম বলেন, অর্থনৈতিক শুমারিতে গোপণে জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। কবে নিয়োগ বোর্ড বসলো তাও কারো জানা নাই। কে কে নিয়োগ পেলো তাও কেউ জানে না অথচ প্রশিক্ষণ হচ্ছে। একজন জনপ্রতিনিধির নির্ধারিত ব্যক্তিদেরকেই শুধুমাত্র এ নিয়োগে নির্বাচিত করা হয়েছে। যার অধিকাংশই অশিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী। এমনকি একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে পুনরায় নিয়োগ কার্যক্রম চালানোর দাবিতে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো অফিসের পরিসংখ্যান তদন্তকারী মো. সাদেকুল ইসলামের সাথে তার মুঠোফোনে (০১৭৩৭-৪৭৬৪৬২) একাধিকবার ফোনকল করা হলে তিনি ফোনকল গ্রহণ করেন’নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, এ নিয়োগে অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ কারো বিরুদ্ধে দেয় তবে তা তদন্ত করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।