যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতার কারণ অপরিকল্পিতভাবে খনন করা ঘেরটি কেটে পানি নিষ্কাশনের পথ উন্মুক্ত করায় ঘটনায় প্রকৃত সত্য আড়াল করে ৪ আগস্ট (বুধবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঘের মালিক লিটু বেগম। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লিটু বেগম নামে এক ব্যবসায়ীর দু’টি মৎস্য ঘেরের পাড় কেটে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে, এতে তার ১০ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
লিটু বেগম জানান, ৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) আনুমানিক বেলা ১১ টার সময় অসংখ্য উশৃঙ্খল যুবক জলাবদ্ধতার অজুহাত দেখিয়ে তার দু’টি মৎস্য ঘেরের ভেড়ি কেটে দেয় এবং ঘের পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতীর সব্জি গাছ নষ্ট করে। এসময় সে ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদেরকে মারপিট করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
তবে এলাকাবাসী জানান ভিন্ন কথা তারা জানান, লিটু বেগম প্রকৃত সত্য আড়াল করে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছে।এলাকার লিয়াকত, সেলিম সামাদ, মিন্টু বলেন, সম্প্রতি এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের খালটি বন্ধ করে অপরিকল্পিত ঘের তৈরি করে লিটু বেগম । এলাকাবাসী তাকে বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি খালের জায়গাটা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ প্রসাশনের নিকট বারবার শরণাপন্ন হয়েও কোন ফল পাইনি এই ঘের দুটির কারনে পৌরসভার ৪,৫ নং ওয়ার্ডের ৫০০ পরিবার প্রায় দের মাস যাবৎ পানির নিচে তলিয়ে ছিল। কারোর কোন প্ররোচনা ছাড়াই এলাকার পানি বন্ধী মানুষের স্বার্থে শত শত মানুষ সেচ্ছায় কোদাল হাতে নিয়ে ঘের দুটি কেটে দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মোল্যা মিজানুর রহমান মিজা সাংবাদিকদের বলেন, খাল বন্ধ করে ঘের তৈরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির বিষয়টি সঠিক। লিটু বেগমকে এলাকাবাসী শত অনুরোধ করা স্বত্বেও তিনি পানি নিষ্কাশনের পথ আটকে রেখেছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান জানান, লিটু বেগম নামে এক নারীর মৎস্য ঘেরে হামলা সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু ঘের দুটি নওয়াপাড়া পৌর এলাকার মধ্যে, সেকারণে পৌর মেয়র, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ও অভয়নগর থানার ওসিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।