অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতার কারণ অপরিকল্পিত ঘেরটি কেটে দিলেন পানি বন্দী ভূক্তভোগী এলাকাবাসী। ৩ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১১.০০টার সময় ঘের কাটার ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের আংশিক এলাকার পানি স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই একটি নির্দিষ্ট খাল দিয়ে নিষ্কাশিত হয়ে আসছিল।
সম্প্রতি এলাকার লিটু বেগম খালটি বন্ধ করে সেখানে মাছের ঘের করলে জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়ে ৫০০ পরিবার প্রায় ৪৫ দিন যাবৎ পানি বন্দী হয়ে পড়ে।পরিবারগুলির দৈনন্দিন সকল কাজ যেমন চলাচল, রান্নাবান্না, বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ ইত্যাদি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করার পাশাপাশি জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে ভূগছিলেন তারা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করা স্বত্বেও কোন সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ঘের কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন ভুক্তভোগীরা নিজেরাই।
এলাকার সামাদ, মিন্টু, সেলিম সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এতগুলো পরিবার লিটু বেগমের কাছে অনুনয় করেছিলাম কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। এরপর সমাজের সর্বস্তরের ব্যক্তি ও প্রশাসনের নিকট দ্বারস্ত হয়েও কোন ফলাফল না আসায় নিজেরাই পানি নিষ্কাশনের পথ তৈরী করতে বাধ্য হয়েছি।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মোল্যা মিজানুর রহমান মিজা সাংবাদিকদের বলেন, খাল বন্ধ করে ঘের তৈরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির বিষয়টি সঠিক। লিটু বেগমকে এলাকাবাসী শত অনুরোধ করা স্বত্বেও তিনি পানি নিষ্কাশনের পথ আটকে রেখেছিলেন। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী নিজেরাই খালটি কেটে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লিটু বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার জায়গা গিয়ে খালের কিছু অংশ ছিল, আমি সে স্থানটি বন্ধ করে ঘের কেটে মৎস চাষ করছিলাম। কিন্তু এলাকার কিছু ব্যক্তি ঘেরটি কেটে দিলে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।ঘের কেটে পানি নিষ্কাশনের পথ উন্মুক্ত করার পর জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা শ্রী রবীন অধিকারী ব্যাচা এলাকা পরিদর্শন করে কোন প্রকার সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে সকলকে আহবান জানান এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তার ঘোষনা দেন।