ইহুদিবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের বিভিন্ন অস্ত্র চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের বরাতে মিডল ইস্ট মানটর এ খবর জানিয়েছে।চুরি হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রকেট,রকেট লঞ্চার,মাইন এবং মেশিন গান।
সরকারি সূত্রের বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চুরি হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে অ্যাসল্ট রাইফেল,মেশিন গান,বিভিন্ন ধরণের গ্রেনেড,রকেট লাঞ্চার এবং বিস্ফোরক এবং দেড় লাখেরও বেশি গুলি।২০১৩ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে শত শত বন্দুক,প্রায় ৫০চি ৬ রকেট লাঞ্চার এবং অন্যান্য বহু ধরণের অস্ত্র চুরি হয় বলে খবরে উঠে আসে।তবে এর জন্য নির্দিষ্টভাবে কাউকে দায়ী করা হয়নি।চুরি হওয়া সব অস্ত্রের হিসাব না পাওয়ায় চুবি হওয়া অস্ত্রের প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বেনি গ্যান্টজ বলেছেন,পরমাণু অস্ত্র বানানোর সক্ষমতা থেকে ইরান আর মাত্র ২ মাস দূরে আছে।জাতিসংঘের পরমাণু তদারক সংস্থাও সম্প্রতি ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে ইরানকে পরমাণু চুক্তিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
এ লক্ষ্যে গত মে মাস থেকে ইরানের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অস্তত ৬ দফা বৈঠকও করেছে।কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্ত বলেন,ইরানের সঙ্গে এখনো আলোচনার পথ খোলা আছে।কয়েকটি পক্ষের কাছে ইরান ইঙ্গিত পাঠাচ্ছে তারাও আলোচনায় ফিরতে চায়।
এখন দেখার বিষয় আদৌ তারা আলোচনায় যুক্ত হয় কি না।ইরানের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরাইলসহ সৌদি মিত্র দেশগুলো মনে করছে,আলোচনার মাধ্যমে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে ফেরানো যাবে না।তবে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে ইরানকে থামাতে কূটনৈতিক পথই সর্বোত্তম।