নওগাঁর রাণীনগরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১সপ্তাহে ১০৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ এসেছে ৩৫জনের। যার শতকরা আক্রান্ত হার ৩২.১১শতাংশ। এপর্যন্ত এই উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ৬জন ব্যক্তি মারা গেছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৫৮ জন। আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৬০জন। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু অক্সিজেন সরবরাহ ছিলো না।
অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে করোনা রোগীদের জন্য ১৬ চ্যানেল বিশিষ্ট সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন থেকে উপজেলার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে অক্সিজেন সুবিধা পাবেন। নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. ইউনুছ আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো, কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খাঁন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেলিম জাহাঙ্গীর, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) শাহিন আকন্দ, উপজেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা ও হসপিটালের অন্যান্য মেডিকেল অফিসারবৃন্দ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খাঁন জানান, রাণীনগর বাসীর জন্য এটা একটি সুখবর। এখন থেকে উপজেলার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে অক্সিজেন সুবিধা পাবেন। করোনা আক্রান্ত রোগিদের জন্য অক্সিজেন খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট। যা আজ থেকে উপজেলা হাসপাতালে যুক্ত হলো। কোন করোনা রোগি যেন অক্সিজেন সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষে আমারা আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদান করে যাবো।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে নতুন করে আরও দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নওগাঁ সদর উপজেলার এবং অন্য জন মহাদেবপুর উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত ব্যক্তির সংখ্যা হলো ৯৬ জন।
এই ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৪৫ ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে আক্রান্তের পরিমাণ ৫ হাজার পূর্ণ হলো। এ সময় মোট ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫ ব্যক্তির পরিজটিভ পাওয়া গেছে। অঅক্রান্তের হার ২২ দশমিক ১৬ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্তের পরিমান হলো ৫ হাজার।