বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্যসমালোচক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, “কোন জাতিই অন্য ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করে বা গবেষণা করে বেশি দূর এগোতে পারেনা। জাতি হিসেবে যারা পৃথিবীতে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে তারা প্রথমত মাতৃভাষায় কাজটি করেছে। এরপর যখন একটি সম্পদ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে জ্ঞান ও বুদ্ধির, তখন তারা তা বিতরণের জন্য অন্য ভাষার সহায়তা নিয়েছে। তাই আমাদের সব কিছুর আগে নিজের মাতৃভাষা চর্চার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। “
তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিক ভাবে অনেক দূর এগিয়েছি, তবে অর্থনৈতিক অগ্রগতিই প্রধান বিবেচ্য বিষয় নয়। শিক্ষা, গবেষণা এবং মৌলিক চিন্তার ক্ষেত্রে সৃজনশীল ও মননশীল কর্মকান্ডের বিকাশে আমাদের এগোতে হবে সমান তালে। সোমবার বেলা ১১টায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
সভায় অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। ববি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ আব্দুল কাইউমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীন। ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যুক্ত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন ববি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী।
এর আগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকাল ৯ টায় জাতির সূর্যসন্তান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রভাত ফেরি সহকারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সমবেত হন। পরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ ববির বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, গ্রেড ১১-১৬ ও গ্রেড ১৭-২০ কল্যান পরিষদ, বঙ্গবন্ধু হল, শেরে বাংলা হল, শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, ২৪টি বিভাগ, ববিতে কর্মরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সংগঠন উত্তরাধিকার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ডিবেটিং সোসাইটি, ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ।