শিবচরে রেজাউল করিম হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ঘটনার ১ মাস ২৬ দিন পর এমদাদুল মুন্সী নামে এক ঘাতককে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতারের পর ঘটনাস্থল থেকে রেজাউলের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করে পুলিশ।গত ১০ সেপ্টেম্বর রেজাউলকে চাকরির কথা বলে এনে ঘাতক বন্ধু রোলাস মালিথা রনি এমদাদের সহায়তায় হত্যা করে। ২০ সেপ্টেম্বর শিবচরের মাদবরচরের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে রেজাউল করিমের মুখ পোড়ানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার হলেও পরে পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।
জানা যায়, বগুড়ার চকসূত্রাপুরের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. রেজাউল করিম (৪০) ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চর আমলা গ্রামের সরোয়ার হোসেনের ছেলে রোলাস মালিথা রনি (৪০) কর্মসূত্রে কয়েক বছর আগে নেপাল থাকত। দু’জনের বন্ধুত্বের সূত্রে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রেজাউলকে পদ্মা সেতুর প্রকল্পে কাজ দেয়ার কথা বলে রনি শিবচরের মাদবরচরে তার শ্বশুর বাড়িতে আসতে বলে। গত ১০ সেপ্টেম্বর রেজাউল ৩ হাজার টাকা নিয়ে শিবচরের মাদবরচর আসে।
রনি তার সহযোগী এমদাদ মুন্সীকে (২৩) প্রকল্পর বস সাজিয়ে রেজাউলকে নিয়ে রাতে শিবচরের মাদবরচরের কালাই হাজী কান্দির একটি পরিত্যক্ত ঘরে রেজাউলকে পেছন থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর রেজাউলের ছবি তুলে তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু দরিদ্র পরিবারটি টাকা না দিলে ঘাতকরা সটকে পড়ে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটনাস্থল থেকে হাত-পা বাধা ও মুখ ঝলসানো অজ্ঞাতনামা হিসেবে রেজাউলের লাশ উদ্ধার করে। সোমবার কেরানীগঞ্জের কবুতরপাড়া থেকে এমদাদুল হক মুন্সিকে গ্রেফতার করে। এমদাদুল হত্যার কথা স্বীকার করেছে, মঙ্গলবার তাকে মাদারীপুর আদালতে নেয়া হয়েছে।
শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন কালজয়ীকে বলেন, গ্রেফতার হওয়া এমদাদুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থলের পাশের একটি পাটখেত থেকে নিহত রেজাউলের ব্যাগ ও জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। এমদাদুল হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে। অপর আসামি রোলাস মালিথা রনিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।