সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, পৌর শহরের উকিল পাড়া জনস্বাস্থ প্রকৌশলী অফিস। কমপাউন্ডে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার লিটার পানি ধারনের সক্ষম একটি ওভারহেড পানির ট্যাংকি নির্মাণ করা হয়েছে। ২ কোটি ২৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯ শত ৩ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই ওভারহেড পানির ট্যাংকি টি।
অপর দিকে শহরের কালিনাথ রায়ের বাজারের হাট খোলা জামে মসজিদের পাশে অবস্থিত বিদ্যুৎ অফিসের মূল ফটকের সামনে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার লিটার পানি ধারণে সক্ষম আরেকটি ওভারহেড ট্যাংকি নির্মাণ করা হয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৩১ লক্ষ ৬ হাজার ১ শত ৮১ টাকা। এ ওভারহেড ট্যাংকি দুটি নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৫৯ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৪ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে। দুটি ওভারহেড ট্যাংকি মোট ১২ লক্ষ ১ শত ৬০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি ধারনে সক্ষম।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর ভোলা অফিস এর প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। ৩৭ জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রজেক্ট এর অধীনে দুটি ওভারহেড পানির ট্যাংকি নির্মাণ করা হচ্ছে ভোলা পৌরসভায়। এছাড়াও এ প্রকল্পের অধীনে পৌর শহরে ৪০০ টি গভীর নলকুপ (টিউবওয়েল) ও ৪২ কিলোমিটার ফাইভ লাইন এবং ১৩ টি উৎপাদন নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান ওভারহেড পানির ট্যাংকি দুটি আগামী দু-মাস এর মধ্যে ভোলা পৌরসভাকে হস্তান্তর করা হবে। এবং প্রকল্পের অধীনে চলমান সকল কাজ আগামী জুন ২০২২ ই তারিখের মধ্যে শেষ করতে পারবে বলে আসা ব্যক্ত করেন।
ভোলা পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাজির আহমেদ তারিক বলেন।ভোলা পৌরসভার সকল জনগন কে সার্বক্ষনিক পানি সরবরাহের লক্ষে এ ওভারহেড ট্যাংকি গুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে যেমন কারেন্ট না থাকলে পৌরবাসী পানি পায় না এবং পানি সংশ্লিষ্ট কাজ ব্যাহত হয়, ওভারহেড ট্যাংকি গুলো চালু হলে এই সমস্যাটা আর থাকবে না।
বিদ্যুৎ না থাকলেও পৌরবাসী তাদের প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করতে পারবে, এছাড়াও ওভারহেড ট্যাংকি গুলো নির্মাণ করার কারণে পানির স্পিড বাড়বে ফলে সকলে সুপেয় পানি ব্যবহার করতে সুবিধা হবে। আমরা আশা করি দুইটা ওভারহেড পানির ট্যাংকি থেকে ভোলা পৌরসভার সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে, এছাড়াও ওভারহেড পানির ট্যাংকি নির্মাণের সাথে সাথে আমরা ভোলা পৌরসভায় নতুন গ্রাহকদের পানির লাইন সরবরাহ করছি, এবং এটি আমাদের চলমান থাকবে। এ ছাড়া ও পৌরসভাএলাকায় প্রায় ৪২ কিলোমিটার পানির লাইন টানা হয়েছে, ফলে সকল গ্রাহকদের সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে ।
পৌরসভার পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বলেন, পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল । বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ট্যাংক নির্মাণ আমরা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর মাধ্যমে তা বাস্তবায়নের পথে আজ কয়েক মাসের মধ্যে ভোলা পৌরবাসীর জন্য তা হস্তান্তর করা হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ভোলা পৌরসভায় আজ অনেক দৃশ্যমান এবং সারা বাংলাদেশের মধ্যে ভোলা পৌরসভা আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়েছে।