নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সুপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবির লাইসেন্স করা পিস্তল চুরি করে তার মাদকাসক্ত ছেলে শামীম (৩৫) নিজ বাড়ীর দোতলায় একটি কক্ষের ভিতরে অবরুদ্ধ থাকার ১৯ দিন পর সোমবার রাতে অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে।এর আগে গত ২৬ আগষ্ট মাদকাসক্ত শামীম বাবার বৈধ অস্ত্র চুরি করে নিজ বাড়ীতে নিজেকে অবরুদ্ধ রাখে।উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কালনী হিরনাল এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।

জানা যায়,গত ২১ আগষ্ট সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম তার লাইসেন্সকৃত ৬ রাউন্ড গুলিভর্তি পিস্তলটি ঘর থেকে খুজে না পেয়ে ২২ আগষ্ট রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।২৬ আগষ্ট আইনজীবির মাদকাসক্ত ছোট ছেলে শামীম নিজবাড়ীর দোতলার একটি কক্ষে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখে।আইনজীবির আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৯ আগষ্ট সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র বেস্ট এডিশন ইন্সটিটিউটের একটি টিম রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে শামীমকে নিয়ে যেতে আসে।

এ সময় পুলিশের সহায়তায় তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলতে গেলে অবরুদ্ধ থাকা মাদকাসক্ত শামীম তাদের লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।একটি গুলি বেস্ট এডিশন ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান পরাগের হাতে লাগে।পরের দিন ৩০ আগষ্ট সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিকুল ইসলাম ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অবরুদ্ধ কক্ষ থেকে শামীমকে পিস্তলসহ বের করতে অভিযান চালায়।

এসময় পুলিশ কক্ষের ভিতরে শর্ট গানের দুই রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে।এ সময় মাদকাসক্ত শামীম পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকবার গুলি করার চেষ্টা চালায়।ঘটনার পর অবরুদ্ধ কক্ষ থেকে বের করতে থানা পুলিশ,জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।তাকে উদ্ধার করতে না পেরে পুলিশ বাহিনী সদস্য বাড়িটিকে ঘিরে রেখেছিল।এদিকে সোমবার রাতে মাদকাসক্ত শামীম তার বাবার বৈধ পিস্তলসহ নিজেকে পুলিশের কাছে সমর্পন করে।এছাড়া পুলিশ আইনজীবি এড. রফিকুল ইসলামের কাছে থাকা ৩৫ রাউন্ড গুলি জব্দ করে।

এবিষয়ে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ দৈনিক কালজয়ীকে জানান,মঙ্গলবার সকালে পুলিশ মাদকাসক্ত শামীমকে সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র বেস্ট এডিশন ইন্সটিটিউটে হস্তান্তর করেছে।আইজীবির লাইসেন্সকৃত বৈধ পিস্তল ও গুলি থানায় জমা আছে।আইনজীবির অস্ত্র ব্যবহারের লাইসেন্স বাতিলের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হচ্ছে।