1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
সরাইলে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম,দিশে*হারা ক্রেতারা !
বাংলাদেশ । শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ ।। ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি মৌলভীবাজারে কাঁচাবাজার সহ নিত্য পন্যের দাম অস্থিতীশীল। কোটা বহাল রাখার দাবিতে ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কোটা সমাধানের দাবিতে ফুলবাড়ীতে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভসহ সমাবেশ কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল সৈয়দপুর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল সারাদেশে আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ইবি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার ঘরবাড়ীর ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন সৈয়দপুরে বৃষ্টির পানিতে বন্দি ভুক্তভোগিদের সড়ক অবরোধ গুলিবিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সরাইলে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম,দিশে*হারা ক্রেতারা !

মো. তাসলিম উদ্দিন :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩
  • ১৬০ বার পড়েছে

কোনভাবেই কোনভাবেই থামছে না নিত্যপূর্ণের দাম। প্রতিদিনই বাড়ছে লাগামহীনভাবে নিত্য পুণ্যের দাম। বাজারে পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি থামার কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এরমধ্যে ভালো খাবার তো এখন নাগালের বাইরে। অবস্থা এমন যে, মাছ-মাংস ছুঁয়ে দেখতে পারছেন না মধ্য ও নিম্নবিত্তরা। ফলে বিপাকে পরেছেন তারা। এসবের বাইরে সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী। আর চিনি, আটা, ময়দা বাড়তি দামে আটকে রয়েছে।

এরমধ্যে নতুন করে বেড়েছে ডাল ও ছোলার দাম।রবিবার (১২ মার্চ) সকালে সরাইল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দামের উত্তাপ এখন ছড়িয়েছে মাছের বাজারে। প্রকারভেদে সাধারণ চাষের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে কাতল-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের (উন্মুক্ত জলাশয়ের) মাছগুলোর দাম বেড়েছে ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। কাতল মাছ সাড়ে তিশত থেকে চারশত টাকা, শিং মাছ দেশী হাজার থেকে বারশত টাকা, ফার্মের ৪০০ টাকা।

সরাইল বাজারে কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। খাসির মাংসের দাম প্রতিকেজি ১১শ টাকা। এদিকে টানা তিন সপ্তাহ ধরে অস্থির ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার এখন ২৫০ -২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর হালিপ্রতি ডিমের দাম ৪০-৫০ টাকা। লাল মুরগি সাড়ে তিনশত টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।সরাইল উপজেলা মো. সাফির মিয়া, তিনি বলেন, আমাদের মতো হিসাব করে চলা মানুষ আর গরুর মাংস খেতে পারবে না।

কমদামে ব্রয়লারও এখন কেনা যায় না। মাছের দামও বেড়েছে। আমরা এখন কী খাবো? তার সবজি দাম তাদের ইচ্ছে মতে বিক্রি করছে।তিনি বলেন, ইচ্ছা থাকলেও মাছ-মাংস সন্তানের মুখে দিতে পারছি না। হিসাবের বাইরে গিয়ে কিনলে, অন্য খরচে টান পড়ছে। আমার জীবনে সব পণ্যের দাম একসঙ্গে এভাবে বেড়ে যাওয়া কখনো দেখিনি।

বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোঃ কালাম মিয়া বলেন, সব মুরগি দাম বেড়েছে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগি দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। মানুষ মুরগি কিনছে কম। বিশেষ করে দেশী মুরগির ক্রেতা একদমই। এ সময় তিনি কয়েক দিন আর রমজানের বাকি তবে মুরগির দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে মুরগি বাড়ার ইংগীতি তিনি করলেন।

কুট্রা পাড়ার মোড়ের গরুর মাংস বিক্রেতা বলেন, গত মাসে গরুর মাংস সাড়ে চয়শত থেকে সাতশত টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।এখন ৫০ টাকা বাড়তি। সপ্তাহখানেক আগেও ২০-৩০ টাকা কমে বিক্রি করা গেছে। এখন যাচ্ছে না।অন্যদিকে বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও কমেনি আদা-রসুনের দাম।প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৪০-২৮০ টাকা ও রসুন ১৬০-২২০ টাকা দরে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙাশ-তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আগে বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হতো ১৫০-১৬০ টাকা, যা এখন ১৮০-২০০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০-২৫০ টাকা। যা আগে ১৮০-২০০ টাকায় কেনা যেত।

বাজারে আসা সাধারণত গরিব ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা ব্রয়লার মুরগি ও মাছের ওপর নির্ভরশীল। তাদের মধ্যে অনেকে এসব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, একটা দিন যে ভালো-মন্দ খাবো এখন সেই উপায় নেই। এগুলো দেখার কেউ নেই। আমাদের নিয়ে কেউ ভাবে না।

রিক্সা চালক বলেন, দিনে ৬০০-৭০০ টাকা কামাই, এরমধ্যে যদি ২৫০ টাকায় মাছ কিনি, তাহলে অন্য খরচ কী দিয়ে হবে? আমাদের অবস্থা আরো বেশি খারাপ।সংসার চালানো এখন কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।মাছ বিক্রেতা আনিস জানান, তার দোকানে প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-১০০০ টাকায়। যা আগে ৫০০-৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতেন। অন্যান্য চাষের মাছগুলোও বেশ বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ২৮০-৩২০ টাকা ছিল।অন্যদিকে বাজারে দেশি প্রজাতির টেংরা, শিং, গচি, বোয়াল মাছের কেজি ৬৫০-৮০০ টাকা। যা ছিল ৬০০-৬৫০ টাকার মধ্যে। তবে এসব মাছ চাষের হলেও কিছুটা কম দামে মিলছে। মাছের আরেক বিক্রেতা ঘেরা বলেন, সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারেও।

সে কারণে দাম বেড়েছে।অন্যদিকে মুদি বাজারে তেল, চিনি, আটা, ময়দা, গুঁড়া দুধসহ অন্যান্য বেশকিছু পণ্য বাড়তি দামে আটকে রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে ডাল ও ছোলার দাম। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ৯০-৯৫ টাকা ছিল।

একইভাবে প্রতি কেজি ১০ টাকা বেড়ে বুটের ডাল ৯৫-১০০ এবং মাসকলাইয়ের ডাল ১৫৫-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।সবজির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আর গ্রীষ্মের যে নতুন সবজি এসেছে তাতে হাত দেওয়ার অবস্থা নেই। প্রতিকেজি বেগুন ৬০ টাকা, করলা১০০ -১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সিমের বেছি ১৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD