1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
ষড় ঋতুর বাংলাদেশে,ঢাকার পাশেই লাল শাপলার রাজ্য দৈনিক কালজয়ী
বাংলাদেশ । বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ষড় ঋতুর বাংলাদেশে,ঢাকার পাশেই লাল শাপলার রাজ্য

ফয়সাল আহমেদ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১
  • ৫১২ বার পড়েছে
নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জ
নয়নাভিরাম মনোমুগ্ধকর লাল শাপলার প্রতি আর্কষণ নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

ষড় ঋতুর বাংলাদেশে বর্ষাকাল অন্যতম। এ সময় নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড় ও দিঘি পানিতে থাকে পরিপূর্ণ। আর সেসব জায়গায় ফোটে নানা রকম ফুল। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা অন্যতম। বর্ষাকালে প্রকৃতি তার আসল রূপে ধরা দেয়। এ সময় নদী-নালা, খাল- বিল, হাওড় ও দিঘি পানিতে থাকে পরিপূর্ণ। চারপাশের প্রকৃতি আরও সবুজ হয়ে ওঠে। গাছে গাছে ফোটে রং-বেরঙের ফুল-ফল। ঠিক তেমনই বর্ষায় পানিতে পরিপূর্ণ খাল-বিল, হাওর-বাওড়ে ফোটে লাল, সাদা, হলুদ সরঙের বাহারি শাপলা।

নয়নাভিরাম মনোমুগ্ধকর লাল শাপলার প্রতি আর্কষণ নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের খালে- বিলে ফোটত বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা। এর মধ্যে লাল শাপলা অত্যন্ত সৌন্দর্যের আর্কষণ। রাস্তার ধারে বিলে বা পুকুরে লাল শাপলা দেখে পথচারীরা পুলকিত হতেন।

অনেকে রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে এক নজর দেখে নিতেন নয়নাভিরাম লাল শাপলার সেই দৃশ্য। কেউ কেউ আবার লাল শাপলা তুলে মালা বানিয়ে গলায় পরে আনন্দ পেতেন। বর্ষা মৌসুম এলেই রূপগঞ্জের বিল-ঝিল, পুকুর-ডোবা, জলাশয় ও নিচু জমিতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নিত লাল শাপলা।বর্ষাকালে প্রথম দেখা মিলত এ শাপলার। এরপরে শরৎকালে নালা ও ডোবায় দেখা যেত এ ফুল।

বসন্তের শেষ পর্যন্ত নিচু জমি ও বড় পুকুরে এ ফুল শোভা পেত। লাল শাপলাকে ইংরেজিতে জবফ ধিঃবৎ ষরষু বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম ঘুসঢ়যধবধ ৎঁনৎধ। এটা একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। দূর থেকেই চোখে পড়বে লাল আর সবুজের মাখামাখি। কাছে গেলে স্পষ্ট হবে শাপলা ফুলের এক প্রাকৃতিক স্বর্গ।

দেখেই চোখ জুড়িয়ে যাবে। আগাছা আর লতাগুল্মে ভরা বিলের পানিতে ফুটে থাকা হাজার হাজার লাল শাপলা দেখতে কার না ভালো লাগে! জাতীয় ফুল শাপলার প্রেমে পড়েনি এমন কেউই হয়তো নেই! দিগন্ত বিস্তৃত বিলে ফুটে আছে শাপলা। এ যেন প্রকৃতির এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য। বর্ষায় শাপলার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখতে বেশি দূরে যেতে হবে না। ঢাকার অদূরেই প্রকৃতির কোলে ফুটে আছে হাজারো পদ্মফুল।

ষড় ঋতুর বাংলাদেশে বর্ষাকাল অন্যতম। এ সময় নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড় ও দিঘি পানিতে থাকে পরিপূর্ণ। সূর্যের সোনালি আভা শাপলাপাতার ফাঁকে ফাঁকে পানিতে প্রতিফলিত হয়ে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় এই বিলের সৌন্দর্য। নৌকা কিংবা হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিলের ভেতর ঢুকলে মনে হবে বাতাসের তালে তালে এপাশ-ওপাশ দুলতে দুলতে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে শাপলারা। সে হাসিতে বিলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আনন্দধারা।

শাপলা ফুল ভোর বেলা ফোটে এবং দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে পাঁপড়ি বুজে যায়। সরাসরি কাণ্ড ও মূলের সাথে যুক্ত থাকে ফুল। শাপলার পাতা আর ফুলের কাণ্ড পানির নিচে মূলের সাথে যুক্ত থাকে। আর এই মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে এবং পাতা পানির উপর ভেসে থাকে। মূল থেকেই নতুন পাতা জন্ম নেয়।

পাতাগুলো গোল এবং সবুজ রঙের হয়, কিন্তু নিচের দিকে কালো রঙ। ভাসমান পাতাগুলোর চারদিক ধারালো হয়। শাপলা ফুল নানা রংয়ের দেখা যায়। সাদা শাপলা দেশের জাতীয় ফুল। তবে রূপগঞ্জে রয়েছে লাল শাপলার এক বিশাল সমাহার। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার শিমুলিয়া গ্রামের সৌন্দর্য বর্তমানে বাড়িয়ে দিয়েছে লাল শাপলা। ঐ এলাকার খাল-বিলগুলো এখন প্রায় শাপলাতেই পরিপূর্ণ। যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছে মানুষ। কেউ নিজ হাতে শাপলা উঠাতে নৌকা নিয়ে হানা দেয় বিলে।

রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া এলাকার জহির মিয়া বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে লাল শাপলা ফুল দেখতে পরিবারের সবাই চলে আসি এখানে। শিমুলিয়া গ্রামটি রাজধানী ঢাকার খুব কাছেই। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজের পাশে। এই জায়গাটিকে সবাই লাল শাপলা বিল বলে চিনলেও এই জায়গাটির নাম শিমুলিয়া কুলাদি বিল। বর্ষা মৌসুমে যখন লাল শাপলা ফুল ফোটে, তখন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে এই লাল শাপলা ফুল দেখতে।

.আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিলে শাপলা ফুলের দেখা মিলে। আর এই ফুলের সৌন্দর্য দেখতে হলে খুব সকাল সকাল আসতে হয়। সূর্য উঠার পরে ফুলের সৌন্দর্য অতটা আর পাওয়া যায় না। সেখানে বেশ কয়েকটি ছোট নৌকা রয়েছে, চাইলে সেগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারেন ঘণ্টা চুক্তিতে। লাল, সাদা ও বেগুনি এই তিন রঙের শাপলার দেখা মেলে এ বিলে।

তবে লাল শাপলাই বেশি। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিলে শাপলার প্রকৃত সৌন্দর্যের দেখা মেলে। তবে জুলাই মাস শেষে যাওয়াই ভালো, কারণ এ সময়ে শাপলা মাত্র ফুটতে শুরু করে। সেখানে বেশ কয়েকটি ছোট নৌকা আছে, চাইলে সেগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারেন ঘণ্টা চুক্তিতে।শিমুলিয়া গ্রামে কয়েকটি লাল শাপলা ফুলের বিল আছে। এসব বিলে তিন ধরনের লাল শাপলা ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আর এই ফুলের সৌন্দর্য দেখতে হলে খুব সকাল সকাল আসতে হয়। সূর্য উঠার পরে ফুলের সৌন্দর্য অতটা আর পাওয়া যায় না।

রাজধানীর কুড়িল বাসস্টপ থেকে কাঞ্চন ব্রীজ যেতে কার ভাড়া পড়বে ৬০ টাকা জন প্রতি। অথবা এসি বিআরটিসি বাসে ৯০ টাকা জন প্রতি কাঞ্চন ব্রীজে পৌঁছাতে পারবেন। সেখান থেকে শিমুলিয়ায় যেতে অটো রিক্সা ভাড়া পড়বে ২০/২৫ টাকা জনপ্রতি। বলতে হবে শিমুলিয়া কুলাদি বিল/শাপলা বিল যাবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD