শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটী ইউনিয়নের উত্তর ঘোনাপাড়া গ্রামে ২৮ বছর বয়সী দুই সন্তানের জননী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। তার স্বামী ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে থাকেন। এদিকে দুটি শিশু সন্তান নিয়ে উত্তরঘোনাপাড়া গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ। গৃহবধূ বাড়িতে শিশু সন্তান নিয়ে একা থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে রাণীশিমূল ইউনিয়নের বাঘহাতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিন ওরফে জসি হাজীর ছেলে মনিমুক্তা ওরফে মনির (৩৮) ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
ওই গৃহবধূ বলেন, ঈদে গরু বিক্রির করার জন্য তার বাবা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সুযোগে ১৪ জুলাই বুধবার রাত অনুমান ২ টার দিকে মনিমুক্তা ওরফে মনির তার বাড়িতে এসে বসত ঘরের দরজার বাধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মুখ গামছা বেধে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে গৃহবধূর ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থল গিয়ে ধর্ষণকারী মনিমুক্তা ওরফে মনিরকে আটক করে। এঘটনায় রাতেই স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা মেম্বার ও অন্যান্য লোকজন বৈঠকের কথা বলে গৃহবধূর বসত বাড়িতে বসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ মনিমুক্তা ওরফে মনির তার বড় ভাই ও ইউ.পি সদস্যর সহযোগিতায় বৈঠক থেকে সে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় তাতিহাটী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা বলেন, ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়ে ছিলাম। বৈঠকের এক পর্যায়ে ধর্ষণকারী মনিমুক্তা ওরফে মনির ধর্ষণের ঘটনা সাথে জড়িত স্বীকার করেছে। বৈঠক চলাকালীন সময়ে একজনের সাথে কথা বলতে চেয়ে ধর্ষক মনিমুক্তা ওরফে মনির দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।