শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নে হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় বসত বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে ভাতশালা ইউনিয়নের হাওড়া নিজপাড়া গ্রামের জমসেদ আলীর বাড়িতে দেখা গেছে এমন চিত্র।স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,গত ৩ মাস আগে জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জেরে খুন হন একই এলাকার বদন মিয়া (৫০)।
এ ঘটনায় বদনের পরিবার বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।এরপর সেদিনই সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জমসেদ আলী ও তার ছেলেসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে।দীর্ঘ ২ মাস জেলে খেটে ওই মামলার ৫ জন আসামী বর্তমানে জামিনে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান,বদন খুন হওয়ার পর বিবাদী পক্ষের সবাই জেলে ছিল।তখন রাতের আঁধারে ওই বাড়িতে লুটপাট হয়।কে বা কাহারা নিয়েছে আমরা দেখি নাই।তবে লোকমুখে শুনেছি বাদী পক্ষের লোকজনই এসব কাজ করেছে।অভিযোগকারী জমসেদ আলী (৬৫) বলেন,আমরা যদি অপরাধ করে থাকি সেজন্য আইন আছে,আদালত আছে।সেখানে আমাদের বিচার হবে।তাই বলে আমাদের বসত বাড়িতে হামলা করবে,লুটপাট করবে।
জমসেদ আলী আরো বলেন,আমার ছেলেদের ৪ টি ঘরের টিনের বেড়া খুলে নিয়ে গেছে বাদী পক্ষের লোকজন,পুকুরের মাছ বিষ প্রয়োগে সব ধরে ফেলেছে।আমাদের বাড়িতে কৃষিকাজে ব্যবহৃত পাম্প,হাঁস,মুরগি সব তারা দখলে নিয়েছে।আমরা বর্তমানে আদালত থেকে জামিনে আছি।বাদী পক্ষের লোকজন আমাদেরকে বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না।আমাদের নানা রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) বন্দে আলী বলেন,লুটপাট হওয়া গরু ও গোলার ধান আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি।এরপর কি হয়েছে সেই বিষয়ে আমাদের কাছে কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ কেউ দায়ের করেনি।অভিযোগ পেলে তারপর তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।