শেরপুরে সাংবাদিক মোঃ মারুফুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা-হয়রানীমূলক মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ,দ্রুত মুক্তির দাবিতে ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে শেরপুর জেলা শহরের মাধবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,সাংবাদিক মারুফের স্ত্রী সুমনা।
তিনি বলেন,আমার স্বামী সাংবাদিক মারুফ সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে নতুন ঘর তৈরী করার প্রস্তুতি নেয়।এসময় আমার স্বামীর চাচাতো ভাই ওবায়দুর রহমান তুহিন ও তরুণসহ কয়েকজন ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান,ভয়-ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করে।এরই ধারাবাহিকতায় ওবায়দুর রহমান তুহিন ও তরুণ গংরা আমার স্বামীর উপর একাধিকবার হামলা চালায়।এরপর গত ১২ জুন ভোর ৫টায় আমাদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
এব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।ওই মামলায় জামিন নিয়ে এসে বিবাদীরা ষড়যন্ত্র করে আমার স্বামী বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে।আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমার স্বামী উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের পিটিশন দায়ের করার উদ্দেশ্যে ঢাকায় যান।এদিকে ৪ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাব-১৪ ঢাকা থেকে আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে।
এরপর ৫ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে র্যাব-১৪ তাকে শেরপুর সদর থানায় সোপর্দ করে।আমার স্বামী একজন সম্মানী ব্যক্তি হওয়া সত্বেও পুলিশ অন্য ওয়ারেন্টভূক্ত অপরাধীদের সাথে হাতকড়া পড়া অবস্থায় পুলিশ ছবি তুলে।পরে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।
অপরদিকে গত ১৭ জুলাই আমি এবং আমার মেয়ে পাকুড়িয়া ফকিরপাড়া গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই।ওইদিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আমার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ওবায়দুর রহমান তুহিন ধর্ষণের চেষ্টা করে।এ ব্যাপারে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হলে শেরপুর সদর থানাকে অভিযোগটি এফআইআরভুক্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হলেও আসামি তুহিনকে গ্রেফতার না করায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।তাই আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে আমার স্বামীর মুক্তি দাবি করছি।