সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর কাছ থেকে শিশু সন্তান (ছেলে) ছিনিয়ে নিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (৬ ফেব্রয়ারি) রাতে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও আহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান এর মেয়ে মালা খাতুন এর সাথে একই গ্রামের জিন্নত এর ছেলে হুমায়ুন এর ২০২০ সালের ফেব্রয়ারিতে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর থেকেই স্ত্রীর উপর নানা নির্যাতন করে আসে হুমায়ুন।
এর পরে গত ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর তাদের ঘর আলোকিত করে একজন ছেলে সন্তান আসে। তারপরেও নানা অযুহাতে মালার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় তার স্বামী। এতো নির্যাতন সইতে না পেরে পরে মালাা খাতুন তার স্বামী হুমায়ুন কে গত ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর তালাক দেয়।
তালাকের পর গতকাল রোববার (৬ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যায় তার স্বামী হুমায়ূন ও তার ভাই হাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য তাদের সহযোগী নয়া মিয়ার ছেলে সাদ্দাম,পলাশ ও উমর এর ছেলে হৃদয় সংঘবদ্ধ হয়ে মালা খাতুনের বাড়ীতে গিয়ে শিশু ফাইজুর রহমান মায়াজ কে তার মায়ের কোল থেকে অর্তকিত ভাবে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়।
এ সময় মালা খাতুন এর চিৎকারে তার মা আকলিমা ও পিতা আব্দুল মান্নান, নানা আজিজুল হক, মামা মামুনুর রশিদ এগিয়ে এলে তাদের কে বেধড়ক মারপিট করে হাত ভেঙ্গে দেয়া সহ গুরুতর আহত করে। আহতরা হলেন,মালা খাতুন(২১),আকলিমা আক্তার (৩৫),আজিজুল হক(৫৫),আব্দুল মান্নান(৪৫) মামুনুর রশীদ(৩২)।
পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত আকলিমা আক্তার এর অবস্থার বেগতি দেখে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সাহেদুর রহমান গতকাল সোমবার (৭ ফেব্রয়ারি) সকালে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।
বাকীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান জানান, শিশু সন্তান ছিনিয়ে নিতে আমরা বাধা দিলে আমাদেরকে মারপিট করে হুমায়ুন ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন। আমি এ ঘটনায় মামলা করবো।
তিনি প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবী জানান। জানতে চাইলে, সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক দৈনিক কালজয়ীকে জানান, এ ঘটনায় কোনো প্রকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।