1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, অথচ হাজিরা খাতায় সই হয়ে যায় নীলফামারীর স্কুলে
বাংলাদেশ । রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ।। ২৫শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, অথচ হাজিরা খাতায় সই হয়ে যায় নীলফামারীর স্কুলে

শাহজাহান আলী মনন
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
  • ২০৭ বার পড়েছে
নীলফামারীর একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দীর্ঘ দিন থেকে স্বামীর সাথে ঢাকায় থাকেন। সেখানে থেকেই তিনি বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় উপস্থিতির সই করছেন নিয়মিত। আশ্চর্যজনক হলেও সেটাই হচ্ছে অবাধে।
সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ে না এসেও বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও ঠিকই ভোগ করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, উৎকোচের বিনিময়ে তাকে এসব সুযোগ করে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ঘটনাটি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ঝাকুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সূত্র জানায়, পুটিমারী ঝাকুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শামীমা নওরিন জ্যোতি নামে একজন শিক্ষিকা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যোগদান করেন। যোগদানের পর কয়েকদিন ক্লাস নিলেও পরে তিনি স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় চলে যান এবং সেখানেই অবস্থান করছেন।
দীর্ঘ দিন থেকে তিনি ঢাকায় অবস্থান করলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত উপস্থিতি দেখাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বরত উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি আগে থেকেই জানেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, এ বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষকের মধ্যে চারজন শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস নেন। বাকিদের মধ্যে শামীমা নওরিন জ্যোতি অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি এ বিদ্যালয়ের সভাপতির ছোট বোন। তাই তাকে বিদ্যালয়ে আসতে হয় না।
অভিযোগ রয়েছে, শামীমা বিদ্যালয়ে না এসেও হাজিরা খাতায় নিয়মিত উপস্থিত থাকছেন। ওই বিদ্যালয়ের কেউ না কেউ তার স্বাক্ষর করে রাখছেন। তবে হাজিরা খাতায় যোগদানের দিন তিনি যে স্বাক্ষর দিয়েছেন, তার সঙ্গে পরবর্তী অনেক স্বাক্ষরের নেই কোনো মিল।
এলাকাবাসী জানান, ওই শিক্ষক প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন বিদ্যালয়ে।   ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, শামীমা নওরিন জ্যোতি কয়েক দিন স্কুলে এসেছিলেন। পরে আর আসেন না। শিক্ষিকা শামীমা নওরিন জ্যোতির মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, শামীমা অন্তঃসত্ত্বা, আমাকে ফোন করে ছুটি নিয়েছে। সে ঢাকায় গেছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এর আগেও ওই শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি আমি ধরেছিলাম। তখন আমাকে জানানো হয়, তার মিস ক্যারেজ হয়েছে। তাই মানবিক কারণে পদক্ষেপ নেইনি। তবে স্বাক্ষরের গরমিলের বিষয়টি দেখে প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করেছি। অনুপস্থিতির কারণে ওই শিক্ষিকাকে শোকজও করেছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, বিষয়টি তিনি আগে জানতেন না। জানার পর একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। ওই শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD