গত ২০১৭ সালের ০১ আগষ্ট কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার লাকসাম উপজেলাধীন মুদাফফরগঞ্জ এলাকায় একটি ডোবা থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত হত্যা কান্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে পুলিশ ভিকটিম আকবর হোসেন বাবুল এর হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচনে তদন্ত শুরু করে এবং মামলা তদন্ত শেষে ০৫ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। গত ০৬ এপ্রিল কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত করে ০৫ জনকে ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা ও নোয়াখালী এর একটি আভিযানিক দল দ্রুততম সময়ের মাঝে উক্ত মামলার পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখ ০১.৩০ ঘটিকায় নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন হালিমা দিঘিরপাড় এলাকা হতে ভিকটিম আকবর হোসেন বাবুল হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী রহমত উল্যাহ রনি (২২) কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী রহমত উল্লাহ রনি (২২) নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানাধীন ০১নং জয়াগ ইউপিস্থ উলুপাড়া গাছী বাড়ীর সামসুদ্দিনের ছেলে। অত্র মামলার ০১নং আসামী লিপি আক্তার এর সাথে ভিকটিম আকবর হোসেন বাবুল এর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামী লিপি আক্তার অন্যান্য আসামীদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে হত্যার পরিকল্পনায় সামিল করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে অপহরণ পূর্বক হত্যা করে।
অতপর ভিকটিমের মৃত দেহ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার লাকসাম উপজেলাধীন মুদাফফরগঞ্জ এলাকায় একটি ডোবায় ফেলে রেখে চলে আসে। র্যাব-১১ দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ পূর্বক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাইমুড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।