যশোরের শার্শায় ৬ বছরের শিশু কন্যা আখি মনিকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর মা সুমি খাতুন (২৭) বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।মঙ্গলবার ১৭ই আগস্ট রাত ৮টার দিকে উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শুড়ারঘোপ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।স্বামী পরিত্যক্ত সুমি খাতুন ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
সুমি খাতুনের ভাই মাহমুদুল হাসান মাসুদ জানান,আখি মনির জন্মের পর স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হয় তার।শিশু কন্যাকে নিয়ে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে সে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলো।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানতে পারেন তারা মা- মেয়ে বিষপান করেছে।
তাদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক মা-মেয়েকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. আব্দুর রশিদ জানান,হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই শিশু আখি মনির মৃত্যু হয়েছে।
তার মা সুমিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।রাত ৯ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।ডা. আব্দুর রশিদ আরও জানান,ধারণা করা হচ্ছে শিশু কন্যাকে বিষপান করিয়ে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।
মরদেহ দুটি হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।সুমির মামা কামরুজ্জামান জানান,সুমিকে ফের বিয়ে দেওয়ার জন্য তার পিতা সিরাজুল ইসলাম চেষ্টা করেন।কিন্তু পাত্র মেয়ে আছে জানার পর বিয়ে করতে নারাজ হয়।সুমিও মেয়ে ছাড়া বিয়ে করতে চায় না।
এ নিয়ে সুমির বাবা ও পরিবারের সাথে কলহ চলে আসছিল।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমি তার মেয়ে আখি মনিকে ভাত খাওয়াচ্ছিলেন।এ সময় বাবা সিরাজুল ইসলামের সাথে বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।এরই জেরে সুমি বাড়িতে থাকা ঘাস মারার বিষ ভাতের সাথে মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ানোর পর নিজেও খেয়ে আত্মহত্যা করে।