তিমির বনিক: মৌলভীবাজার জেলায় শীতের দাপট কমছে না। বসন্তের শুরুতে আবারও জেঁকে বসেছে শীত। কয়েক দিন কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সূত্রে, প্রযুক্তি সহায়তায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রীমঙ্গলের পরই ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রংপুরের তেঁতুলিয়া। ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিয়ে তৃতীয় স্থানে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড রয়েছে। আর সিলেটে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হিমেল হাওয়ার কারণে সকাল এবং সন্ধ্যার পর বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন চা শ্রমিকসহ ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষেরা। শীতের কারণে বস্তিবাসী, চা বাগান, বোরো চাষি, হাওর পাড়ের ছিন্নমূল ও দিনমজুররা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।এদিকে, শীতজনিত রোগে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে বলে জানান। এখন তো ক্লাইমেট (জলবায়ু) অনেক চেঞ্চ (পরিবর্তন) হয়ে পড়েছে। গত বছর বৈশাখ মাস পর্যন্ত ঠাণ্ডা ছিল। এবার হয়তো এর আগেই শীত বিদায় নেবে বলে আশ্বাস।