মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি কসমেটিকসের দোকানে ঢুকে পড়ে দাঁড়াশ সাপ। নিজের দোকানে সাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দোকানি।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গলের পরিচালক স্বপন দেব সজল বলেন, রোজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) উপজেলার সদর ইউপি ডলুবাড়ি এলাকার একটি কসমেটিকস দোকানে সাপ ঢুকে পড়ে।
দোকান মালিক আতঙ্কিত হয়ে বন বিভাগ ও বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে খবর দেন।সজল বলেন, খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই একটি বড় দাঁড়াশ সাপ দোকানের র্যাকে অবস্থান করছে।তারপর সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি। আতঙ্কমুক্ত হন দোকানি ও জড়ো হওয়া আশেপাশের মানুষ।সজল জানান, পরে সাপটিকে লাউয়াছড়া অবমুক্ত করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বনবিভাগের এফ.জি সুব্রত সরকার, তাজুল ইসলাম, ঋষি বড়ুয়া এবং বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল।
কৃষকের বন্ধু বিষহীন দাঁড়াশ সাপ কৃষকের নীরব বন্ধু দাঁড়াশ সাপ। নির্বিষ এ সাপটির প্রধান খাবার ইঁদুর। মূলত ইঁদুর খেয়েই এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। আড়ালে থেকে কৃষকের বন্ধু হিসেবেও কাজ করে এটি। কিন্তু অজ্ঞতা আর কুসংস্কারের কারণে প্রতিনিয়ত মানুষের হাতে প্রাণ দিতে হয় এদের।
সারাদেশেই দাঁড়াশ সাপের দেখা মেলে। এরা এখনও বিপন্ন পর্যায়ে না গেলেও আগের মতো তেমন একটা দেখা যায় না। দাঁড়াশ সাপ সর্বোচ্চ ৩৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। কৃষকের বন্ধু হিসেবে পরিচিত এই সাপ দেখতে খুবই সুন্দর। এদের ইংরেজি নাম Rat Snake, বৈজ্ঞানিক নাম Ptyas mucosa। কোনো কোনো এলাকায় এই সাপকে দারাজ সাপও বলা হয়।
দাঁড়াশ সাপ কৃষি জমিতে থাকতে পছন্দ করে এবং যে জমিতে থাকে তার আশপাশে প্রায় ৩ একর এলাকায় ইঁদুর শিকার করে। ফলে ইঁদুরের কারণে যে ফসলহানী ঘটে তা থেকে কৃষক উপকৃত হয়, ফসলী জমি রক্ষা মিলে।